সমসাময়িক বাংলাদেশে শিল্পকলার চর্চা :  একটি উপক্রমণিকা  

দু‘হাজার বাইশ সালে দাঁড়িয়ে আমরা বলতে পারি—বাংলাদেশ জন-অশ্রুত কোনো দেশ নয়, গুরুত্বপূর্ণ নানা কর্মকাণ্ড নিয়ে দেশকে বিশ্ববাসীর কাছে গর্বের সঙ্গে তুলে ধরেছে এই মাটির সন্তানেরা। শিল্প-সংস্কৃতির, বিশেষত দৃশ্যশিল্পের অঙ্গনেই রয়েছে বিশেষ গুণ। দেশের বিকাশমান অর্থনীতির সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত আমাদের শিল্পকলার বিকাশ আরও অনেক উপাদানের সঙ্গে যুক্ত। যেমন, এ অঞ্চলের উপনিবেশিক ইতিহাস পূর্ব ও উত্তর পরিস্থিতি থেকে দেশ ভাগ ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন, গণতন্ত্রমুখী সরকার ব্যবস্থা ও পাশাপাশি ধর্মীয় মৌলবাদের উত্থান, বুদ্ধিজীবী শ্রেণির সচেতন অংশগ্রহণ কিন্তু দলীয়করণনীতি, খবরের কাগজ ও মাল্টিমিডিয়ার স্বাতন্ত্র আগমন, বহুজাতিক কোম্পানি ও স্স্তা গার্মেন্টস শ্রম, শিক্ষার হার বৃদ্ধি কিন্তু চারু ও কারুকলাকে স্কুল কলেজে আবশ্যপাঠ্য না করা, প্রতিযোগিতামূলক বাজারের বিশ্বায়ন ও তথ্যপ্রযুক্তির সুলভ্য সংযোগ ইত্যাদি সবকিছুই ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে বর্তমান শিল্পকলার গতিপ্রকৃতি নির্মাণে। খুব পেছনের ইতিহাস সামান্য সূত্র হিসেবে থাকুক, কারণ এখানে শুধু ২০০০ পরবর্তী সময়ের শিল্প প্রবহ চিত্র আলোকপাতকেন্দ্র। 
প্রাতিষ্ঠনিক শিল্প শিক্ষা ক্ষেত্রে সরকারি চারু ও কারুকলা অনুষদ বা বিভাগের বাইরেও রাজধানী কেন্দ্রিক বেসরকারি উদ্যোগ লক্ষনীয়। শিক্ষার মান প্রশ্নে প্রসঙ্গ উত্থাপনের সুযোগ রেখে বরং আমরা আশাবাদী হই অনেক নবীন শিক্ষার্থীদের শিল্পকলা শিক্ষায় আগ্রহের ফলে । ইউডা (ইউনিভার্সিটি ওব ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভ) স্থাপিত হয় ২০০২ সালে, যেখানে চারুকলা অনুষদ থেকে পাস করে বেরিয়েছে ১২০০ শিক্ষার্থী। শান্ত-মরিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়াটিভ টেকনোলজি থেকে ২০০৩ সাল থেকে এখন অব্দি প্রায় ২৫টি ব্যাচে পাস করে বেরিয়েছে প্রায় ৩০০-র অধিক শিক্ষার্থী। ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টসে চারুকলা কোর্স আকারে আছে। এছাড়া সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর এবং জগন্নাথে যুক্ত হয়েছে চারুকলা বিভাগ। ফলতঃ সময়ের দাবি পূরণে কিছু পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে। এর সঙ্গে কর্মক্ষেত্র পরিসরে যুক্ত হয়েছে নানা ধরনের আনিমেশন ফার্ম, ডিজাইন ফার্ম , টিভি চ্যানেল, থ্রি ডি ফার্ম, পোশাক ডিজাইন, বহুজাতিক কোম্পানি ইত্যাদি। কাজেই এক ধরনের ভারসাম্য তৈরির প্রচেষ্টা এসব ক্ষেত্রে লক্ষনীয়। শিল্প শিক্ষার্থীরা পাশ করে বেরিয়ে নতুন নানা ধরনের সৃজনশীল কাজের সঙ্গে যুক্ত হবার প্রয়াস পাচ্ছে। যদিও তাদের শুদ্ধশিল্প যাত্রাপথ থেকে বেরিয়ে আসতেই হয় জীবনের তাগিদে—হৃদয়ে বেদনা গেঁথে চলে হাহাকারের মালা। সে গল্প আজ 
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত জাতীয় চারুকলা প্রদর্শনী, এশিয়ান আর্ট বিয়েনাল এর পাশাপাশি, বস্তুত অনেক ক্ষেত্রে কর্ম উদ্যোগে এগিয়ে আছে বেসরকারি পর্যায়ের গ্যালারি, শিল্প সংস্থা ও শিল্পীদের দ্বারা পরিচালিত সংগঠনগুলো। সেক্ষেত্রে পরবর্তী গ্যালারিগুলোর জন্য দেশের প্রথম আর্ট গ্যালারি শিল্পাঙ্গন-এর ভূমিকা দিকনির্দেশনামূলক ছিল। এদেশে গ্যালারিগুলো প্রদর্শনী-কেন্দ্রিক, যেগুলো বেচাবিক্রির সঙ্গেও যুক্ত কিন্তু চিত্রশিল্পকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছানোর একটি অন্যতম মাধ্যম। ২০০০ এর পর থেকে গ্যালারিগুলোতে কিউরেটর এর নেতৃত্বে প্রদর্শনীর চলকে শিল্পচর্চার আন্তর্জাতিক ইকো সিস্টেম প্রতিষ্ঠিত করার একধরনের প্রচেষ্ঠা বলে আখ্যা দেয়া যেতে পারে, যা আজকে ২০২২ এ এসে সফলতার মুখ দেখছে । বিশ্বশিল্পের ধারা বা যুগের সঙ্গে তাল মেলাতে, দেশে শিল্পীরা নিজেরাও প্রদর্শনী কিউরেট করেন, শুধু গ্যালারিতে ছবি ঝোলানো নয়—বিষয়টি আরও ভাবনা ও দর্শনের দারি রাখে। যদিও এসব ক্ষেত্রে শিল্পীদের পেশাদারি কিউরেটর অ্যাখ্যা দেয়া যায় না। তবু আনন্দের বিষয়—শিল্পচর্চার পাশাপাশি শুধু কিউরেটর হিসেবে ক্যারিয়ার বেছে নিয়েছেন অনেক তরুণ। যদিও অনেকক্ষেত্রে ভলান্টারি কাজ হিসেবে এখনো এর অবস্থান। খুব কম প্রতিষ্ঠানে কিউরেটর একটি বিশেষ পদ। বেঙ্গল ফাউন্ডেশন প্রায় ৩০ বছর ধরে শিল্পের নানাবিধ শাখায় কাজ করে যাচ্ছে। বিশেষত দৃশ্যশিল্পকলাকে জনমানুষের কাছে নিয়ে যাওয়া, শিল্প বাজার তৈরি, শিল্পীদের জীবনমান উন্নতকরণ, মানসম্মত প্রদর্শনী, গবেষণাকে উদ্বুদ্ধকরণ ও জনসংযোগে বেঙল ফাউন্ডেশনের ভূমিকা অগ্রগণ্য । গ্যালারি কায়া, গ্যালারি কসমস, এজ গ্যালারি, ঢাকা আর্ট গ্যালারি, দ্বীপ গ্যালারি, কলাকেন্দ্র, গ্যালারি চিত্রক, অঁলিয়ান্স ফ্রন্সেস, ইএমকে সেন্টার, গ্যাটে ইন্সটিটিউট  ইত্যাদি বেসরকারি উদ্যোগে পরিচালিত প্রতিষ্ঠানগুলো নিজ নিজ সামর্থ অনুযায়ী নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশের শিল্প আন্দোলনে আঙ্গিক নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে যাচ্ছে। যদিও খুব সক্রিয় গ্যালারি বলতে আমরা ঢাকা শহরে তিনটি বা চারটি গ্যালারি কি পাই? যেখানে কেবল মাত্র শিল্পমান বিবেচনা করে শিল্পীকে জায়গা দেয়া হয় অথবা তার প্রতিভার মূল্যায়ন বা ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবার পথ সুগম করা হয়? আরও অনেক অমীমাংসিত প্রশ্নের উত্তর এ মুহূর্তে দেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে থাকা অসংখ্য তরুণ বা সম্ভাবনাময় শিল্পীদের জানা নেই। দশকরা সে কথা কি টের পান? অথবা শিল্পসমালোচকেরা? দশক আজ কতটুকু শিল্পের সঙ্গে সংযুক্ত অথবা দশক ও শিল্পীর সঙ্গে যুক্ততার সংজ্ঞাই বা কী আমাদের সমাজে?
শিল্পকলা প্রদর্শনীর সঙ্গে নিয়মিতভাবে আর্ট টক এর আয়োজন শিল্পী ও দর্শকের মাঝে মেল বন্ধন তৈরিতে সহায়ক। ২০১১ সাল থেকে সামদানী আর্ট ফাউন্ডেশন দুই বছর অন্তর ঢাকা আর্ট সামিট আয়োজন করে যাচ্ছে। কিউরেটরিয়াল গবেষণা সমৃদ্ধ প্রদর্শনী আয়োজিত হচ্ছে, যেখানে তরুণদের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন শিল্পীদের অংশগ্রহণ, গবেষক, আর্ট হিস্টোরিয়ানদের নিয়ে সেমিনার, সিম্পোজয়াম ইত্যাদি জ্ঞানচর্চার পরিসর উন্মুক্ত করছে । যা এদেশের শিল্পকলাকে একটি আন্তর্জাতিক বলয়ে পরিচিতি প্রদানে সচেষ্ট।  
২০০০ পরবর্তী সময়ে এসে এদেশে যে পুঁজিপতিদের বিকাশ ঘটেছে তাঁর সঙ্গে শিল্প সংগ্রাহকদের রুচিশীল অংশগ্রহণ নতুন দৃষ্টান্ত তৈরি করেছে। আগে হয়তো শিল্পীরা ছাড়া সংগ্রাহকদের অস্তিত্ব সম্পর্কে সাধারণ মানুষের কোনো ধারণা ছিল না। কিন্তু এখন, সংগ্রাহকদের সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধি এবং পাশাপাশি সংগ্রাহকরা নিজেদের সংগ্রহ প্রকাশে দ্বিধা করেন না। অনেক সংগ্রাহকের ওয়েবসাইটে সংগৃহীত শিল্পকর্মের ছবি, শিল্পী পরিচিত সহজে তথ্য অনুসন্ধানে সহায়ক। এক্ষেত্রে, তথ্যপ্রযুক্তির সহজলভ্যতাও যোগাযোগকে সুগম করেছে। বলা যায়, সোশ্যাল মিডিয়া, যেমন ফেসবুক, ইন্সট্রাগ্রাম, টুইটার প্রভৃতি সকলের কাছে সকলকে আরও কাছে নিয়েছে। উদাহরণ স্বরূপ, দুর্জয় বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের কথা বলা যায়, যারা ধীর গতিতে হলেও— শিল্পকলাকে নিয়ে নানান ধরনের কর্মকাণ্ড করবার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। 
শিল্পীদের দ্বারা পরিচালিত শিল্প সংগঠনের নাম উল্লেখে বৃত্ত আর্ট ট্রাস্ট এর নাম অগ্রগণ্য। যৌক্তিক কারণ হলো, ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত বৃত্ত আর্ট ট্রাস্টকে বলা যায়, একদল তরুণ শিল্পীর সমন্বিত প্রচেষ্টায় সফল একটি সংগঠন যারা গতানুগতিক শিল্প মাধ্যমকে চ্যালেঞ্জ করলেন নতুন মাধ্যমের চর্চার মধ্যদিয়ে। যেমন, পার্ফমেন্স আর্ট, ভিডিও ও সাউন্ড আর্ট, ইন্সটলেশন ইত্যাদি মাধ্যমকে ব্যাপকভাবে নতুন প্রজন্মের কাছে পরিচিত করে তুললেন তারা। এর আগে যে এধরনের চর্চা শিল্পীরা করেননি, তা নয়। যেমন, শিল্পী মোহাম্মদ জাকির হোসেন নিজে থেকেই চারুকলা শিক্ষাকে ত্যাগ করে চর্চা করতে শুরু করেন পার্ফমেন্স আর্ট। কিন্তু এটা একধরনের ব্যক্তিস্বাতন্ত্র পর্যায়ের চর্চা ছিল। বৃত্ত সুচিন্তিত ভাবে এদেশের প্রেক্ষাপটে ওয়ার্কশপ, প্রদর্শনী, প্রকল্প করে অনেক তরুণদের যুক্ত করে এবং  মাধ্যমের  উন্মুক্ত ব্যবহারকে উৎসাহিত করে। দেশে তখন থেকেই উত্তর আধুনিক চর্চা জনপ্রিয়তা পায়। তারা একচ্ছত্র গ্যালারি নির্ভরতাকে অস্বীকার করে। ফলত, বিশ বছরে এদেশের তরুণ শিল্পীরা জেনে যায় যে শিল্প শুধু মাত্র কোনো মাধ্যমের মুনশিয়ানা নয়, চিন্তা, জ্ঞান চর্চা, গবেষনাও শিল্পের গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। একই সঙ্গে শিল্পের রয়েছে বাজারবিমুখী প্রবণতা, কিন্তু জনসংযোগ ও স্বতঃস্ফূর্ত সম্ভাবনা। 
দাগী আর্ট গ্যারেজ সাতজন শিল্পীর একটি দলগত প্রয়াস, সেখানে নিজেদের কাজ করাটাই একটি মূল ভাবনা। ২০১৩ সাল থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৪ টি প্রজেক্ট করেছে এই দল। ২০১৬ তে পাঠশালা, সাউথ এশিয়ান ফটোগ্রাফি ইন্সটিটিউট এর ক্যাম্পাসে ওয়েপেন কান্ট কিল শিরোনামেi প্রজেক্টে শিল্পীরা নিজ নিজ কাজের মধ্যে দিয়ে দেখিয়েছেন, অস্ত্র একটি বস্তু মাত্র, যা আসলে মানুষকে হত্যা করতে পারে না। হত্যা করতে পারে অস্ত্র চালনাকারী মস্তিষ্ক (পলিসি)। সুতরাং সমন্বিতভাবে একটি ভাবনাকে দর্শকের মধ্যে প্রবাহিত করার প্রচেষ্টা। এটি একটি উদাহরণ, এরকম নানা ভাবনাকে শিল্পের রূপ দানে স্বচেষ্ট আছে আরও অনেক শিল্পদল। যেমন, বৃহত্ব আর্ট ফাউন্ডেশন খুব সম্প্রতি আত্মপ্রকাশ করেছে হাজারীবাগের পরিত্যক্ত ট্যানারি এলাকায়। এই পরিত্যক্ত ট্যানারিগুলোতে আরও শিল্পীরা স্টুডিও করেছেন। ফলে, শিল্পীরা স্টুডিও চর্চা করছেন স্বতন্ত্র বা দলগতভাবে। শিল্পীদের স্বাধীনভাবে পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাওয়ার সংগ্রাম এখন অলীক নয়। কারণ, হিসেবে বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়া একটি বড় প্রভাব বলা যায়। 
ছাপচিত্র স্টুডিও শূন্য এর নাম অগ্রগণ্য। কারণ একজন ছাপচিত্র শিল্পী এই স্টউডিওটি পরিচালনা করে অন্য ছাপচিত্রীদের কাজ করার সুযোগ করে দিচ্ছেন আজকে অর্ধযুগেরও বেশি সময় ধরে। শিল্পকর্মকে সহজলভ্য করার মাধ্যেম হিসেবে ছাপাই ছবির সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে প্রথিতযশা শিল্পী মোহাম্মদ কিবরিয়ার নামে হওয়া কিবরিয়া প্রিন্ট ফেয়ার প্রতিবছর যে মেলার আয়োজন করে আসছে বিগত ১০ বছর  যাবৎ। এটি একটি আশাজাগানিয়া ঘটনা। সারাদেশের সকল শিল্পীরা সুলভ মূল্যে তাঁদের শিল্পকর্ম এই মেলায় বিক্রি করেন, যা আদতেই মধ্যবিত্তকে উৎসাহিত করছে ঘরে একটি হলেও শিল্পকর্ম রাখবার জন্যে। 
এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে, অনলাইন ভিত্তিক অনেক দল হয়েছে, যারা অনলাইন ভিত্তিক প্রদর্শনীর আয়োজন করছে। কোভিড ১৯ সময়ে এই আন্দোলন জোiদার হয়েছে এবং অভূতপুর্ব সাফল্য অর্জন করেছে। উদাহরণ স্বরূপ, আর্ট ২৯ স্টুডিও এর কর্মকাণ্ডের কথা উল্লেখ করা যায়। 
এই আলোচনায়, ব্যক্তি শিল্পীদের উপস্থিতি একটি সামগ্রিকতার ভিতরে দেখানোর উদ্দেশ্য হলো, এদেশে অনেক নাম করা, আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন শিল্পীরা আছেন, যাঁরা কাজের মধ্যদিয়ে নতুন প্রজনের জন্য ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছেন। স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরে অগ্রজদের হাঁটা এই পথ অবশ্যই আমাদের জন্য আশীর্বাদ। আমাদের দেশের শিল্প পরিসর এখন অনেক বিস্তৃত এবং গতিশীল। এই গতিশীলতা অবশ্যই সুদিনের পথে অগ্রসরমান এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু নির্দিষ্ট করে কোন দৃশ্যশিল্পকে কোন আঙ্গিকে ফেলার সময় এখনো আসন্ন কিংবা এটা উন্মুক্ত থাকাই দাবি করে।


জাফরিন গুলশান শিল্পী ও শিল্প লেখক। ঢাকায় বসবাস করেন। 

menu
menu