গুচ্ছ কবিতা
অন্তসার শূন্যতা
সময়ের পদচ্ছাপের মাপে তৈরী করে নাও
পরিব্রাজক প্রত্যয়, অন্বিষ্ট উদ্ধার
হাহাকার কুড়িয়ে চলা জীবন নিষিক্ত করো
বোধের রূপময়তায়, সঞ্চিত সম্ভার।
বিগত দিনের শোকে আগামীর সঞ্চয়ে টানো
বিবর্ণতার বাকহীনতা, মৃত হাসি
তোমাকে অতিক্রম করে চলে তোমার হারানো
প্রতিশ্রæতির মগ্নতা, অন্তলীন বাঁশী।
ক্লিববেশি
বিদঘুটে যত প্রহর গেঁথে নিপুণ কারুময় দেরাজে
সঞ্চয় করছো কাঁটা,
খেদ
বিবর্ণ সাদাথান দেয়ালে হিমসাঁতার হামাগুড়ি দিচ্ছে
শোক আর সন্তাপ,
ক্লেদ।
নির্লজ্জ বেলেল্লাপনার মাস্তিতে হাসে ছেনাল সময়
তুমি শুধু নি®প্রভ,
মৃতপ্রায়
ক্ষুরধার নখরে ছিন্নভিন্ন করোটি দেখ পূর্ণ হয় কীটে
ঘুমের ঘোরে তুমি,
হীনতায়।
একটি আস্ত জীবন বেহুদা খরচা করে ভাবছো তুমি
চমৎকার ভ্রমণ,
উড়ে শূন্যতায়
হৃদয়খুঁড়ে দুঃখ জাগানোর পারলৌকিক যত সঞ্চয়
ক্লিববেশি নির্ঘাত,
আত্মহীনতায়।
লগ্নতা
উল্লাস ছিলো হয়তো চাপা ব্যথার বুক জুড়ে, তুমি
বুঝতে পারোনি
ছিলো ততোধিক নিঃস্বতা হাসির সামিয়ানা ঢেকে
রাধারমনের দুঃখলগ্ন
চৈত্রের দাহে হাপুস
চিৎ সাঁতারে পুঁটি মাছেদের পটলতোলা, কিংবা
জলজগতে চরম দুর্ভিক্ষে আত্মঘাতী মীনপ্রজাতি।
চলে যাওয়া বসন্তে সংক্রান্তি হোক বা না হোক
পাতারা ধরে রাখে চুমুর গভীর দাগ, ব্যথার ঝিনুক
তো থাকেই পূর্ণ উচ্ছাসের কোল ঘেঁষেই
যেমন লাতুপুতু স্বপ্নেরা প্রাকপ্রণয়ের শিহরণের পাশে
প্রবল শূন্যতায় ক¤িপত হৃদয়
তোমার চোখ ফোটে নি।
শোকের কিংবা দুঃখের, প্রেম কিংবা ঘৃনার, মুক্তি কিংবা
কারাগারের সীমান্তরেখায়, প্রগাঢ় বিবমিষায়
সময়ের হৃদপিÐ নিয়ে উন্মাতাল ভোজসভায়,
তোমার দৃষ্টি স্বনির্বাসনে খুঁজে নেয় নিঃসীম শূন্যতা
কোথাও না কোথাও ছিলো লগ্নতা, তুমি বোঝোনি।
মাতাল
তুমি প্রকাশিত কিংবা উদ্ভাসিত হও
কিংবা হও পাতালাশ্রয়ী
বিবরবাসী,
রুদ্রসময় জাগে নৈঃশব্দভেদী
সূর্যসঞ্চারী প্রাঞ্জল দৃপ্ত প্রাণ
আঁধারবিনাশী।
সবই ছিলো তোমার অকপট সখ্যতা
জাগৃতি উদ্দীপ্ত প্রাণোচ্ছ¡াসী
স্বপ্নময়তার আড়াল,
আমিই শুধু ত্রিকাল ত্রাসে কুন্ঠিত প্রাণ
মৃত্যুময়তার চিরঅন্ধ পুজারী
তোমার নেশায় মাতাল।