দুটি সান্ধ্যসনেট ।। অহ নওরোজ
পুনর্বার ভেবে
কোনো সন্ধ্যালোকে হাওয়াঘেরা উঠানে
পরিচিত বেড়ালের ডাকের ভেতর
আপন চেহারা ছুঁয়ে; কিংবা কোনো এক
দুপুর বেলায় সাঁকো পার হতে গিয়ে
থির জলের ভেতরে নিজ ছায়া দেখে;
অথবা শীতের কোনো ভরা জোছনার
অনুপম রাতে কুয়াশা রহস্য খুলে
সবকিছু জেনে গেছি ভাববার আগে
মনে করো একবার পৃথিবীর কথা—
আর্কটিকময় তুন্দ্রার ঘন শরীরে
যে পাফিন অবিরাম সূর্য খোঁজ করে,
যে বালক সাহারার অগ্নি ভরা রোদে
ক্যারাভান সঙ্গে নিয়ে শত পথ হাঁটে
তার বুকের কাছেও কিছু জাদু আছে—
সুরভী বিষয়ে দুটো কথা
ঐ যে গাছ তার নিচে জানু পেতে বসে,
ছায়ায় কিংবা সন্ধ্যায় দেরি করা রোদে
যখন বিকেল যায়; বা অনেক ভোরে,
যখন আলোর দেহে জাদু ভেসে যায়—
কিংবা কোনো গেৎশিমানী গহিন বাগানে
রাত্রি পরিবৃত চাঁদের রহস্যলোকে
সকল উৎকণ্ঠা খুলে নিজেরই হাতে
রক্তগুলো ঘাম করে যদি কিছু চাও—
দেখা যাবে মানুষের হাতের পেছনে
হরিদ্রাভ এক রোদ্দুর হয়ে সহজে
সকল যন্ত্রণা পেরিয়ে যাওয়া গেছে—
অথচ লোকেরা ভাবে দ্বিরাগমনের
পরে সকল কম্পিত হাওয়ার মতো
খুব অনায়াসে সুরভীরা আসে নিজে—
অহ নওরোজ জন্ম বাংলাদেশের যশোরের অভয়নগরে। পরিসংখ্যানে পড়েছেন। অনেক দিন ঢাকায় চাকরিসূত্রে সম্পাদনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। বর্তমানে জার্মানিতে অধ্যয়নরত। প্রকাশিত বই: রোমন্থনের সনদ [কবিতা, কবি প্রকাশনী], অতিলৌকিক কবিতাসমূহ [বাংলা-জার্মান দ্বিভাষিক কাব্যগ্রন্থ, অনুবাদ প্রকাশন], মহাকাশের রহস্য [জ্যোতির্বিজ্ঞান, অগ্রদূত অ্যান্ড কোম্পানি]।