(দুটি কবিতা)
পৃথিবীর প্রামাণ্যচিত্র
চোখের ঘোড়া দাঁড়িয়ে আছে শব্দহীন শহর।
সুখসোয়ারি খুঁজে দেখো—পাবে ত্যাগের হ্রেষায়
কোথায় হারাবে নিজেকে সামান্য অজুহাতে
বিশাল বিলবোর্ডে আঁকা আছে মায়ার মুখ।
জেগে উঠেছে মনের মহুয়া; বিরত্ব গল্পগাঁথা
কালো নকশার খাঁজকাটা খাপ খুলে গেছে
দানবের সংসার ভেঙে গেছে সেই কবেই,
তাই তো মান্য করি—পৃথিবী আমার দেশ।
আলো-আঁধারের নেই কোন সীমান্ত কাঁটাতার
পাখিদের ডানায় মুক্ত ওড়াউড়ির গুপ্তবাসনা,
বারুদবেদনা মুছে যাক—চাঁদে লেগেছে গ্রহণ
ঘোড়ার ক্ষুরে ধারালো হোক বিশ্বমানবতা।
ঢেকে যাক—রক্তের বুদবুদ ফণা; ক্ষমতাক্ষরণ
কেউ না মানলেও আমি মানি—
পৃথিবীই হলো শান্তিপূজারি মানুষের সম্মেলন।
সোনার সাম্পান
তাসের ঘরে জমানো গুচ্ছ গুচ্ছ তাচ্ছিল্য
গোপন অনুভূতির খোলা জানালায় ভিড় করে জীবনের গল্প।
প্রবাসীপরাণ টানাটানি-খুনাখুনির নুননদীতে সাঁতার জানে না
সবুজচোখে চিনতে পারে না—স্বার্থের শহর।
পঁচা মগজের মলাটে মলিন ঘুমের মন্দিরে
পূঁজা দেয়—অন্ধ পুরোহিত,
তাই তো, মনের মমি মনেই থেকে গেলে সুবিধা বঞ্চিত।
তাসের তারা হাতে নিয়ে দেখি নি ভোর
প্রাচুর্যের বনল্লাসে ছুটিনি হরিণের পেছনে
সুখে বাঁধানো কোলাহলে ছুঁয়ে দেখিনি গৃহপালিত সকাল
শুধু ছুঁয়ে দেখতে চেয়েছি—তোমার রেখে যাওয়া অভিমান;
যা আমার কাছে আজও—মগ্নতায় মোড়ানো সোনার সাম্পান।
মিজানুর রহমান বেলাল কবি, নাট্যকার এবং সম্পাদক। পড়াশোনা : প্রকৌশলীতে গ্রাজুয়েশন। পুরস্কার : কালি ও কলম (কবিতায়, ২০১৭)-সহ একাধিক। সম্পাদিত ছোট কাগজ : দাগ।