জলে ভেজা বর্ষা
জলে ভেজা বর্ষা
ভেতরে কমবেশি সারাবছর নিম্নচাপ।
গুমোটের ভারে গলার খাঁজে চেনা ব্যথা দলা পাকায়।
বলার আছে অনেক।
শোনার মনের খোঁজ নেই।
খোঁজ মিললেও শুনতে বসে তার যত তাড়া।
বলা হয়ে ওঠে না কিছু।
জমতে জমতে নিম্নচাপ।
নিম্নচাপের নোনতা জল গাল গড়িয়ে
জামায় পড়ে শুকিয়ে যায়।
ভেজে না মন, ভেজে না প্রাণ।
বাইরের আকাশে মেঘ করে আছে।
কাটা কাটা মেঘের ফাঁকে আলোর আভা।
এদিকে মেঘে মেশানো আবেগ
জমাট বাঁধে কোণে কোণে।
কালো করে আসে চারিদিক,
আলোর দেখা মেলে কম।
ভিজলে ভেজো ভেতর ভেতর,
উপর দিয়ে পর্দা টেনে—এমনই নিয়ম বাঁধা।
আবেগি কারণে, দিন চলে না।
চলে না, নাকি জীবনধারা।
চলতে হলে বুঝতে হবে
না বোঝা সব কাণ্ডখানা।
বিচার, বিবেচনায়
পাঠে পাঠরতা মন
পাশ করতে না পেরে ক্লান্ত।
তা-ও পড়তে হয়
বুঝতে হয় সব।
অপরিণত আকাশে
নাকি সারাবছর বর্ষা নামে।
পরিণত হলে কি তবে,
বৃষ্টি অভাবে মরুভুমি হয়?
বালির মতো আলগা আকাশে
তাপ বাড়লেও সেই আগের উত্তাপ
মনে লাগে কি?
হয়তো না।
কখনোই না।
তাই,
থাক বৃষ্টি,
থাক নিম্নচাপ,
থাক নিঃশ্বাসের গরম বাতাস,
থাক গুমোটের মাঝে ক্ষণিকের
দমবন্ধ ভাব।
এর মাঝে বেঁচে থাকা যায়।
চোরাবালিতে হারিয়ে ফেলে
নিঃস্ব হয়ে থাকা হবে, বাঁচা হবে না।
পূজা ব্যানার্জ্জী, কবি, ভারত