থিউরি অব মাইন্ড
থিউরি অব মাইন্ড
আদমের সন্তানেরা একদা বাঁশের বাঁশি বাজানো ভুলে গেল। করুণ সুর কিংবা যে সুরে বাঁশি বাজলে আশেক দেওয়ানা হয়ে মাশুকের কাছে ছুটে আসে; সেসবের কোনো সুরই আর মাটির দুনিয়ায় বাজতো না। কেটে গেল দীর্ঘ এক শতাব্দী। নতুন প্রজন্ম এলো। তারা কোনো দিন বাঁশের বাঁশির সুর শোনেনি।
বাঁশি নিতান্ত অবহেলায় পড়ে থাকল যেখানে সেখানে।
বাঁশির কলবে সুরের তুফান। কিন্তু বাজাবে কে?
কিছুদিন পর পুরোনো প্রজন্মের শেষ বাঁশরিওয়ালার কোকিলের গান শুনে হঠাৎ একদিন মনে পড়ে গেল বাঁশি বাজানোর নিয়ম কানুন। মুহূর্তেই সুরের আগুন ছড়িয়ে পড়ল পৃথিবী জুড়ে।
ইসরাফিলের শিঙার ধ্বনি ভেবে বনি আদম ছুটে গেলো
আওয়াজের উৎসমুখে। দেখে এক বৃদ্ধ বাজায় বাঁশের বাঁশি।
বাঁশের বাঁশির ভেতর থেকে সুর সৃষ্টি করে কে?
বাঁশরিওয়ালা নাকি বাঁশি নিজে? তবে এতোদিন বাঁশি বাজেনি কেন?
বাঁশরিওয়ালা ও বাঁশির সংযোগ ছাড়া
সুরই বা ওঠে না কেন?
একজন কে ছাড়া অন্যজন পরিপূর্ণ নয়।
বাঁশরিওয়ালা ও বাঁশির মিলনে সুর সৃষ্টি হয়।
মানুষের আত্মা বাঁশের বাঁশির সুরের মতো।
শূন্য থেকে সুর এসে বাঁশিতে কেন্দ্রীভূত।
আপনা আপনি সুর সৃষ্টি হতে পারে না।
আবার বাঁশরি ওয়ালাও মুহূর্তেই ভুলে যেতে
পারে সুর তোলার নিয়ম কানুন ও গূঢ় সূত্র।
মানুষ বাঁশের বাঁশি ছাড়া আর কিইবা হতে পারে?
রাবাত রেজা নূর, কবি, বাংলাদেশ