চেসটার পেস্ক’এর মৃত্যু
চেসটার পেস্ক’এর মৃত্যু
তার পছন্দের চেয়ারটা ছিল উজ্জ্বল লাল।
আর স্মৃতিতে ছিল
ছেলেবেলাকার ছোট্ট শহর, হাইওয়ে...
যে পথ তাকে নিয়ে যেত ঝকঝকে মিনিয়াপোলিস।
‘প্যাসিফিক সিনিয়র লিভিং,’ এই গল্প শুনেছে বহুবার!
কুড়ি মাইলের সেই তীব্র ভ্রমণ, পিতার গম্ভীর হাঁকডাক—‘বয় ইউ দেয়ার!’
সপ্তাহান্তে পিতা পুত্রের শেভ্রলেট-স্নান, ফেনায়িত...
ভেতরে সিগারের পুরুষালী ঘ্রাণ!
মিনিয়াপলিস! মিডসেঞ্চুরি নিওন লাইট, হাতে আঁকা ‘সাইনেজ!’
চেসটার পেস্ক! শেভ্রলেট আর তার চুরি করা ডেট, পাট্রিসিয়া...
প্রথম চুম্বন-রাত...
ফিকে লাল ড্রেস, তাতে গাঢ় পকা ডট—মনে ছিল সব।
মৃত্যুর পর তার ড্রয়ারে পাওয়া যায় কিছু পুরোনো চিঠি, ছবি আর
বাদামি ডায়েরি এক।
পাতায় গোঁজা তার একাকী ‘এভেঞ্জ’, না কি নয়নতারা!
কে দিয়েছিলো কাকে ফুল... কে লিখেছিল চিঠি!
‘My beloved—
I’m almost done with the house.
And guess what; I have saved a corner just for you.
I know how much you love to be with yourself sometime... and since I have some children in mind... ha ha...
So In that corner my lady, there is a window for your hazy moon and autumn breeze to come in.
A mirror, to see you in the summer rain.
And the piano that you love so much of
grandpa Thomas Peske!...
Can't wait to see you again,
my love!
Yours—
Chester Peske’
চেসটার পেস্ক-৯৮
ডেথ সার্টিফিকেটে যার মৃত্যুর কারণ লেখা ছিল—
এলজাইমার,
সামাজিক দূরত্ব,
কোভিড নয়, কিন্তু
কোভিড সংক্রান্ত সীমাবদ্ধতার কারণে
জীবনী শক্তির রহস্যময় বিনাশ।
শিমুল জামান, কবি ও আলোকচিত্রী, যুক্তরাষ্ট্র