দুটি কবিতা ।। আতাউর রহমান মিলাদ
কুয়াশা তিমির
বালিশের তলায় সুপ্ত অজগর
এক, উঠছে বেড়ে
শরীরের দৈর্ঘ্যপ্রস্থ মেপে
জানি, একদিন গিলে খাবে
সকল সৌন্দর্য
সৌজন্যবোধ
বিশ্বাসের মহিমা
বিছানায় পরিত্যক্ত ছায়ার খোলস
আড়ালে লুকানো ভয়
হিংসা ও হাসি
অচেনা ক্রোধ
অপহৃত ছায়ার ভাঁজে
মন ভোলানো ছল
অলৌকিক ইশারা
প্রতিরাতে গৃহকোণে মৃত্যুর আয়োজন
দেহের বিচ্ছেদ
কুৎসিত রসিকতা
অনুগত ইঙ্গিত
নির্বাসিত সম্পর্কের নিবিড়তা
বন্ধনের ভিত্তি
মেঘের মোহর
দুঃখরা হেঁটে যায়, নির্বোধ মগজে, দলবেঁধে
অস্তিত্বের বিপরীতে, এঁকেবেঁকে....
অতিথি সময়
এই কাগুজে সম্পর্কটাই থাক
একটি চিকন সুতোয় বাঁধা
জানতে চাইবো না তুমি কই যাও
কার সাথে কাটাও অলস বেলা
ফিরবে কি ফিরবে না আজ রাতে!
না হয় থাকি, একই ছাদের নিচে
অন্তত প্রতিদিন দেখা হোক একবার
শেয়ার নাইবা করলাম ভেজা তোয়াল
শ্যাম্পু সাবান কিংবা শরীরের ঘ্রাণ
বাথরুটা তোমার দখলেই থাক
আমি না হয় গুণবো প্রহর
তোমার ফেরার
শুধু দেখা হোক প্রতিদিন শর্তহীন
কথা বলার প্রয়োজন নেই একবারও
জানতে চাইবো না তোমার দিনলিপি
কে খোপায় গুঁজে দিলো লাল ফুল?
রোদে পুড়ে মলিন হলো কি মুখ!
ভুল করে ফেলে গেলে কিনা হাতের পার্স
ঘরের চাবিটা কি রয়ে গেলো টেবিলের কোণে
এ নিয়ে আগ্রহ থাকবে না, একটুও!
কিছুটা সময় শুধু থাকি, আরও বন্ধনহীন
এক চাদরের নিচে অন্যরকম থাকি
শেয়ার করি একই খাটের দু’পাশ
জ্বলে উঠি একই বাতির নিচে
বিশ্বাস ও বালিশের মাঝখানে দুরত্ব টেনে
দু’জন, পার করি শুধু অতিথি সময়
আতাউর রহমান মিলাদ, কবি ও সম্পাদক, যুক্তরাজ্য