গুচ্ছ কবিতা ।। গোবিন্দ ধর

গোবিন্দ ধর একা অথব শূন্য


ধানের দুধে লেখা থাকে হাওয়াকল গান
ইরিবাতাস।
চাষীর মনের মাটিভেজা মোহনধান
লকলকে গেয়ে উঠে ভাবীকাল।
রকমারি মুখোশের পদাবলী কীর্তন থেকে
ভাবতরঙ্গ সমূহ সংকীর্তন শেষে
রচিত বাঁশধানচাল।


সারা সময়ের পদাবলী রচিত আদেশ
ধর্ষিত সময় শেষে জলতল থেকে
উত্থিত আছড়ার ইতিহাস রচিত হবে
সমমনস্ক কিছু ধানের কান্নার কৌশল।


বীজতলা থেকে সমূহসংগীত বাজে
হাওয়া মোরগফুলের সুভাষ ছড়ায় মনুউপত্যকায়।


উপদ্রুত বসন্তদিন নেচে ওঠে 
জঙ্গলের ফাঁক গলে উঁকি দেয়  
পূর্ণিমাচাঁদ।
ধানের পাতায় লেগে থাকা শীতশিশির টুপটাপ পতনের শব্দে লেখে প্রজন্মের উঠোন।



বিরহরচিত ঘাস ধানের আগাছা হলেও
ধানেরই আগাছা। 
সহসা বাছাই জরুরি।
জরুরি পতাকা বহনে সুসময়ে বন্যাস্রোত ঢুকে পড়ে জল।
জল সব জল জল নয় জীবাণুর সংক্রমণ থেকে ক্রমশ টপকে সঠিক আলপথে এগুতেই হয় সরুআল।


মোহনসংগীত ছিলো বাপুরামের সাপের মেজিক।
মেজিকঝাঁপির ভেতর ঠিকানা ছিলে না
মিছেমিছি কেটেছে সময়।
কালখণ্ড পেরিয়ে আসা চার হাজারধানপাতা গেয়ে ওঠে 
বিব্রতরুচি।


পথের মাঝে কিছু দূর হেঁটে গেলে 
মাঠের তেপান্তরে অবোধ্য পাটশাক 
সবুজ বিলানো ভুলে
যদি কখনো নড়ে ওঠে শীর্ষবিন্দু 
ধর্ষণের অজানা ইতিহাস সেখানে অপেক্ষা করছে। 
খনার জিহ্বা মাটি ভেদ করে
রচিত লণ্ঠনের আলোয়
আর কখন দিক ভুল করে
পুনরায় পাটখেতে যায় না।


ঘরে ঘরে জেগে যাক মেয়েরা খনা
জিহ্বার নৃত্য থেমে গেলে
রচিত ইতিহাস রচনা শেষে 
তুমিই বাঁশমতি বোন
যার ঘ্রাণ বাতাসে ছড়ায়
জেগে থাকে যে জীবনের মোহনবাঁশী হাতে।


গোবিন্দ ধর, কবি ও সম্পাদক, ভারত

menu
menu