স্পর্শসুখ
স্পর্শসুখ
আকছার মুহাম্মদ
রাতের নিস্তব্ধ অন্ধত্ব নেমে সময় গাঢ় হয়
কোথাও কেউ নেই,জেগে আছি তুমি আমি ।
আমার কাকুতি,আকুতি ভক্তি সন্ধি
আমার স্বপ্ন স্বাদ আহ্লাদ , গোঙানি!
প্রাণস্পর্শী সুরেলা আবেদন নিয়ে তোমার আগমন ।
আমি তোমার এ আগ্রহ দেখে অবাক হই !
কেমন করে এ নিরবদ্য দায়িত্ববোধ তোমার মাঝে।
বৃষ্টি দমকা হাওয়া কিছু নেই যা থামাতে পারে ...
আসতেই হবে, ডাকতেই হবে কাছে ।
আমার হাত ধরতে ইচ্ছে করে
যা অসম্ভব
যা অবাস্তব
অপার্থিব ..
হু হু হা-হুতাশ কেবল হৃদপিণ্ড জুড়ে কিল ঘুসি দিতেই থাকে ।
শতাব্দীর পর শতাব্দী আরবে -আজমে , প্রাচ্যে -প্রাতীচ্যে , এশিয়া -আফ্রিকায় , যেথায় আমি সেথা তুমি।
প্রেমিকের প্রেমাষ্পদ আহ্লাদে প্রেমগাঁথা বুঁদ হয়ে শয়ে রয়।
আমার বারবার চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে করে "রাব্বানা লাকাল হামদ" ।
মস্তক অবনত করি "আযিম আযিম" বলে ।
অনাচারে অবরোধ করে আমায় !
আমার সকল তৃষ্ণা সকল আকাঙ্ক্ষা ধরণীর
বিস্তৃত পাওয়া না পাওয়া আমি তোমায় সপে দেই ।
নীরবতায় পায়চারি করি শত ত্রুটির জন্য ,
ক্ষমা চাই ,অনুতপ্ত মন নিয়ে সামনে দাঁড়াই !
অনেকেই বলে তারিফের চর্চায়
তোমার গায়ে জেগে উঠে তৃপ্তির পুলক !
তুমি বুঝি এটাই চাও?
আমার পুরামুখে হাসির ভ্রুণ পয়দা হয় ।
জ্ঞানী -মূর্খ, রাজা প্রজা হোক না সে ডাকাত ,
রোদনধারায় অশ্রু ভাসে যার চোখ
সেই কৃপায় ধন্য হয় বুক , কুঠার হাতে যে খনন
করে তার লাঞ্চনার কুপ।
সে প্রিয় তোমার –তুমি তার ...।
প্রশান্তির নিগূঢ়তা তর্জনী উচুঁ করে শুধায়
বিস্তীর্ণ ভুমণ্ডলে ভাসমান আমার পাপের কথা
নশ্বরতার মুগ্ধবোধ আমাকে কত অতল গহ্বরে সুরম্য অট্টালিকা বানিয়ে তার দাসত্ব করে নিয়েছে ... ।
মিথ্যা
সব মিথ্যা
এ যে অলীক প্রচ্ছদে সচ্ছিত
গচ্ছিত আজাজিলের পদতল ।
এ দারিদ্রের পুঁজি চাই না
স্বহস্তে সৃজন যার আমি তার হতে চাই !
আমি তোমাকেই চাই , চাই তোমার স্পর্শসুখ ।
দিন-রাত্রী পুণ্য দিয়ে ঢাকবে না জানি , তবু
আমি তোমাকে ডেকে নিরাশ হতে চাই না প্রভু ।
ফিলাডেলফিয়া, যুক্তরাষ্ট্র।