জন্ম দিচ্ছে মহাকাল
জন্ম দিচ্ছে মহাকাল
হীরক বন্দ্যোপাধ্যায়
কিশোরীর ঈর্ষা করা মধুভাণ্ডে
আমাদের কৈশোর জ্বলে পুড়ে খাক
চারধারে শয়তানের মৃতদেহ
খণ্ড খণ্ড... আরেকটু ঘুমের জন্যে তারা
গাছ পাহারায় গেছে
তাই পশুপাখিরা সব নিশ্চিন্ত
আমি ঘুমেদের নামকরণ করতে বেরিয়েছি
ফক্কড় ফকির আমি তামসতা সম্বল আমার
অবচেতনে সিন্ধু স্বরলিপি
সংখ্যা গণনা করতে করতে
গোধূলিতে গর্ভদোষ
ভুলিয়ে ফুসলিয়ে মাধবীকে যে নিয়ে গিয়েছিল
যত বড় ঋষি হোক না সে
সেই গালবকে আমি ঘৃণা করি
আমার পৃথিবীতে কোনো স্থান নেই
যযাতিদের মাপা হয় শূন্যের ভগ্নাংশে
বিগত নির্জনে যতোই গাঢ় হয়েছে অন্ধকারের
মেধা, ততোই গুরুদেব বিশ্বামিত্রদের
মুখোশ আমি টেনে খুলে দিয়েছি
সেসবই আজ মিথ্যে দর্শনে বাধানো আয়না ছাড়া কিছু নয়...
এখনো শূন্যে নিরক্ষরেখার চোখে জল
ক্লিবদের শিশ্নদেশে
যুগ্ম নৈঃশব্দ্য দেখা দেয়
আর একটি বিকলাঙ্গ পৃথিবীর জন্ম দিচ্ছে মহাকাল...
বর্ধমান, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত।