আ লো পাখি
আ লো পাখি
কুন্তল রুদ্র
অরণ্যের সমূহ লক্ষণ নিয়ে
ফসলের স্পর্শসুখে শরীরে শরীর মেখে
সময়ের পায়ে পায়ে
দৃশ্যের মুগ্ধতার আরও কিছু কাছে আসা—
ভারি চমৎকার !
সে-সময় কবেকার ?
কোন্ ঋতু সঘনদুপুরে
কে যে কার পথের পানে চেয়েছিল সেইদিন …
বিনির্মাণে দ্যাখো আজো বিচ্ছুরিত শত সূর্যরঙ !
উড্ডীন ডানার সংলাপে
বুকের গহনে দোলে হাঁসের পালের মতো নদী এক
রসের সুতোলিধারা দীর্ঘতম,
আকাশি খামের মতো দূরে ভাসে নীলিমা প্রাচীন !
বাতাসে শিমুলতুলো আকাশ পলাশ
নিস্পন্দ্য সময় তবু কেন নামে চোখের পাতায় ?
মৌনমুখ প্রশ্ন করে—
এই যদি ঋতুকাল কেন তবে রুদ্ধশ্বাস,
সম্ভবের মানচিত্র অজন্তার গুহাচিত্রে তবে কি বিলীন !
আরও একবার কবে
মহুয়ামদির মেঘে ডানার বিস্তার,
সুনিবিড় ছন্দোময় মসৃণ উত্থান
চকোর বাসনাসুখে রৌদ্রস্নান ?
আ লো পাখি যাবি তুই
সুনিপুণ স্নিগ্ধ সেই গহন সন্ধানে ?
পুরানপ্রতিমা যেথা আজো অপলক
মানবঝর্ণার স্রোতে নক্ষত্রের গানে !