ল্যাংস্টন হিউস-এর কবিতা

বিশ শতকের অন্যতম কবি ল্যাংস্টন হিউস জন্ম ১৯০১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম দিন। মিসোরির জপললিনে। শিশু হিউজকে তাঁর দাদির কাছে পাঠিয়ে দেয়া হয়। দাদির কাছেই বড় হন তিনি। দাদি তাঁকে আত্মসম্মানবোধ ও নিজের বর্ণ নিয়ে গর্ববোধ করার শিক্ষা দেন।
অষ্টম শ্রেণিতে পড়ার সময় তাঁর কবিতা লেখা শুরু হয় এবং বেশ কয়েকটি কবিতা বিদ্যালয়ের প্রকাশনায় প্রকাশিত হয়। কলেজে পড়ার জন্য তাঁর বাবার কাছে সহায়তা চাইলে তিনি প্রকৌশল বিদ্যা পড়ার শর্তে রাজি হন। কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার এক বছরের মধ্যে বর্ণবাদী আচরণের শিকার হয়ে পড়ালেখা ছেড়ে দেন হিউস। একাডেমিক পড়াশোনা ছেড়ে দেয়ার পর পরিপূর্ণভাবে লেখালেখিতে মনোনিবেশ করেন। 
কবিতা, উপন্যাস, প্রবন্ধ, ছোটগল্প, ডকুমেন্টারি, নাটক, অপেরা লিবার্টোজ, ইতিহাস, আত্মজীবনী লেখেন। সাহিত্যের প্রায় সকল শাখায় ছিল তাঁর অবাধ বিচরণ। ১৯৬৭ সালের ২২ মে প্রস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।
নিচে তাঁর দুটো বিখ্যাত কবিতার অনুবাদ পাঠকের জন্য তুলে ধরা হলো :


স্বপ্ন 

আঁকড়ে ধরো স্বপ্নকে
কারণ স্বপ্নহীন জীবন 
ডানাভাঙা এক পাখির ন্যায়
যেটা উড়তে পারে না।

আঁকড়ে ধরো স্বপ্নকে
কারণ স্বপ্ন হারিয়ে গেলে 
জীবন উর্বরতা হারায়
বরফে ঢেকে যায়।

গণতন্ত্র

গণতন্ত্র আসবে না
আজকে, এই বছর
কখনো না
সমঝোতা ও ভয়ের মাধ্যমে।

আমারো অধিকার আছে
যেমনটা অন্যদের
দাঁড়ানোর নিজ পায়ে
এবং মাতৃভূমিকে ধারণ করার।

আমি ক্লান্ত হই মানুষকে বলতে শুনে,
যেভাবে চলছে চলতে দাও।
আগামীকাল আরেকটা দিন।
জীবদ্দশায় আমি স্বাধীনতা চাই।
আগামীকালের আশায় আজ বাঁচতে পারি না।

স্বাধীনতা
একটি শক্তিশালী বীজ
রোপিত
বৃহত্তর স্বার্থে
আমিও বাস করি এখানে
আমি স্বাধীনতা চাই

ঠিক তোমার মতো।


• অনুবাদক ও শিক্ষক, বাংলাদেশ।

menu
menu