লিমেরিকগুচ্ছ : অরাজনৈতিক, রাজনৈতিক

লিমেরিক লেখে যারা

লিমেরিক লিখিয়েরা কীরকম লোক?
পাতে মাছভাজা দিলে দ্যায় কি ধমক?
রোগা তারা? বেঁটে তারা?
গুড় খায় চেটে তারা?
এ ব্যাপারে ভালো করে খোঁজ নেওয়া হোক।

খাদ্যরসিক

লোকটা ভারী খাদ্যরসিক, সুশান্ত ব্যানার্জি—
ভগবানের কাছে নাকি করেছিলেন আরজি—
শরীরে রোগ যা দেবে তাই
হাস্যমুখে সইব সেটাই—,
কিন্তু প্রভু দিয়ো নাকো চিংড়িতে অ্যালার্জি।

ছাগল ও ছাতা

ফাটছিল রোদ্দুর মাথা, এই চৈত্রের সাতাশে,
সস্তাদামে কিনে ছিল চিনদেশি এক ছাতা সে।
হ্যাংলা পোষা ছাগলটা তার
চিবিয়ে খেল সবটা ছাতার,
বৃষ্টি শুরু হলেই এখন চাপড়ায় তার মাথা সে।

চোর ধরল না কেন?

বাঞ্ছারামের গামছা চুরি করছিল যে লোকটা
পান খেত সে প্রচুর, তাতে মিশিয়ে ভালো দোক্তা
পুলিশ ছিল সামনে বসে,
ভক্ত ছিল দোক্তারও সে—
তাই ডানহাতে বাড়িয়ে দিয়ে বন্ধ রাখে চোখটা।

ইতিহাস-ভূগোল

পড়া গেল ঝকঝকে ছাপা এক ভূগোলে
পানিপথ লড়েছিল মৌর্য ও মোগলে।
আরও ছিল লেখা রে—
শেষ টাই-ব্রেকারে
মৌর্যরা জিতে যায় পাঁচ বাই দু-গোলে।

পাকিস্তানের লারকানায়

অনেক দূরে, পাকিস্তানে—শহরের নাম লারকানা;
সেইখানেতে আছে পদ্য উৎপাদনের কারখানা।
গরম পদ্য তৈরি হলে,
লাইন দিয়ে সব দলে দলে
লোকটা সব কিনতে আসে, আটশো টাকায় চারখানা।

ওই দেশকে-১

কাকে করেছিলে প্রেসিডেন্ট, হ্যাঁ-গা, গণতন্ত্রের পীঠস্থান?
বদ্ধ কি উন্মাদ লোকটা, নাকি সে হিটলারি মস্তান!
সে কথা ভাবতে পারেনি বিশ্ব,
ঘটে গেল সেই আজব দৃশ্য।
কে ঘটাল, না, ভোটে হেরে গিয়ে যে করতে চায়নি প্রস্থান!

ওই দেশকে-২

অ্যাটম, ইরাক কি ভিয়েতনাম—তোমার অঙ্গে অনেক লজ্জা।
তবু তুমি এক স্বপ্নের দেশে—লাইন লেগে থাকে তোমার দরজায়।
আছে বেশ কিছু ভালো কীর্তি তো—
সবই হলো কী কলঙ্কিত।
তুমি কি সাজালে চিরতরে ওই গণতন্ত্রের মৃত্যুশয্যা!


পবিত্র সরকার, শিক্ষাবিদ, প্রাবন্ধিক ও ভাষাতাত্ত্বিক, ভারত

menu
menu