‘এবং মানুষ’ নদী সংখ্যা : ভিন্ন চোখে দেখা নদীর গতি প্রকৃতি

বাঙালির জীবনে নদী নারীর মতো, প্রেয়সী, নানান অনুষঙ্গ নিয়ে অসংখ্য জীবনের জন্ম দিয়ে আমাদের বাঁচিয়ে রেখেছে। মানুষ ও নদীর সঙ্গে জননী। নারী যেমন মমতাময়, স্নেহ ভালোবাসায় আমাদের আঁকড়ে ধরে রাখেন, জন্ম দেয় সন্তানের। নদীও তেমনি আমাদের যাপিত জীবনে জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য বোঝাপড়ার বন্ধন রয়েছে। নদী নিরবধি বয়ে চলে—কথা বলে না  তবে বাংলাদেশের নদীগুলো তার দুঃখ বেদনার জানান দিয়ে যায়—পাড় ভাঙে, আবার গড়ে। আমাদের সমস্ত প্রাচীন সভ্যতার কেন্দ্রবিন্দুও নদী। নতুন জীবনের প্রাণস্পন্দন নদীর পলি মাটিতে জেগে ওঠে।  

‘স্মৃতি ঝলমল, পানি টলমল, সুনীল নদীর কাছে আমার অনেক ঋণ আছে’—নদীর কাছে আমাদের ঋণ অনস্বীকার্য। কারণ, নদী আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। নদীমাতৃক এই বাংলাদেশে আমাদের জীবন জীবিকার জন্যও নদীর পানিপ্রবাহ জীবনে জাগরণে অপরিহার্য।  

এবং মানুষ ডিসেম্বর ২০২২ এই নদী নিয়ে একটি চমৎকার সংখ্যা বের করেছেন। এখানে নদী নিয়ে যেমন প্রবন্ধ আছে, গল্প আছে, অণুগল্প আছে, আছে কবিতা। এমনকি নদী নিয়ে গবেষণাধর্মী লেখাও এখানে স্থান পেয়েছে। মুক্তচিন্তা বিভাগেও নদী নিয়ে মুক্তচিন্তার এক সমুজ্জ্বল প্রতিচ্ছবি ঝলমলে আলোয় উদ্ভাসিত হয়েছে। নদী নিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ সংখ্যা পাঠক হাতে পেয়েছে। নানা মাত্রিক ব্যঞ্জনায় মূর্ত হয়ে উঠেছে নদীস্যংখাটি। এ কারণে এবং মানুষ সম্পাদক আনোয়ার কামালকে সাধুবাদ দিতেই হবে। 

মুক্তচিন্তা বিভাগে লিখেছেন—সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, ফারুক মাহমুদ,  মানবর্দ্ধন পাল, এ কে শেরাম, ফরিদ আহমদ দুলাল, মাহমুদ কামাল, আফরোজা অদিতি, মযহারুল ইসলাম বাবলা, বিলু কবীর, রকিবুল হাসান, মুজিব রহমান, আলী রেজা, নীলিমা শীল, উদয় শংকর দুর্জয়, আবু আফজাল সালেহ, ড. মো. তারিকুজ্জামান, চাষা হাবিব ও অলোক আচার্য।  

সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী লিখেছেন—‘কেউ বলে বৃক্ষ কেউ বলে নদী’। এই শিরোনামে তিনি লিখেছেন—‘জীবন কি বৃক্ষের মতো নাকি নদীর মতো? প্রশ্নের মুখোমুখি হলে মাঝামাঝি পথ নেওয়াটা নিরাপদ, আবার দুটোই সত্য। জীবনের সঙ্গে বৃক্ষের মিল আছে, তার খাড়াখাড়ি ওপরে উঠে যাওয়াতে, নদীর মিল আছে তার আড়াআড়ি প্রবহমানতায়। প্রশ্নটা দাঁড়াবে কোন তুলনাটা ঠিক, গাছের, নদীর, নাকি যন্ত্রের? এককালে মানুষ গাছে থাকতো, নেমে এসে হাত ও হাতিয়ার ব্যবহার করেছে। অসংখ্য যন্ত্র, অজস্র উদ্ভাবনা এখন তার হাতের মুঠোয়। সে নদীর মতো যতটা না প্রবহমান, যন্ত্র নিয়ে তার চেয়ে অধিক ব্যস্ত। জগৎটা এখন ছোট হয়ে গেছে বড় হতে গিয়ে।’ তাঁর লেখায় নদী নিয়ে আমাদের এইযে এতো দুর্ভোগ তার পেছনে রয়েছে পুঁজিবাদ, একথারই সরল ব্যাখ্যা করেছেন তিনি এই প্রবন্ধে। 

‘আমি মেঘনা পাড়ের ছেলে’ শিরোনামে ফারুক মাহমুদ লিখেছেন— ‘মেঘনা বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান নদী। পৃথিবীর বিখ্যাত নদীগুলোর মধ্যেও অন্যতম। হিমালয় বলয় বহির্ভূত এই নদী মূলত সুরমা, ধলেশ্বরী, ব্রহ্মপুত্র ও গঙ্গার মিলিত স্রোতধারা। অনেক জলরেখা অতিক্রম করে ভৈরব বাজারের কাছাকাছি ‘মেঘনা’ নামে স্পষ্টতা পেয়েছে। কিছুটা দক্ষিণে এলে দেখা মিলেছে পুরাতন ব্রহ্মপুত্রের সঙ্গে। তেলে জলে মেশে না জানি। কিন্তু জলে জলেও মেশে না। মেঘনা নদীর জল টলটলে, নীলাভ। পুরাতন ব্রহ্মপুত্রের জল ঘোলাটে, মেটে রং। লেগে লেগে বয়ে যায়, দুই নদীর জল, একজল হয় না। নৌকায়, অনেকবার কৌতূহলী হয়ে দেখেছি—সুস্পষ্ট ভেদরেখা, মেঘনা-ব্রহ্মপুত্র মিলছে না। দক্ষিণে যেতে যেতে, অনেক বন্দর, শহর ডিঙিয়ে মেঘনা নদী সাগরে মিশেছে। মেঘনায় কাকচক্ষু জল। ভৈরব এলাকায় সে খুব প্রশস্ত নয়, তবে যথেষ্ট গভীর।’ এভাবেই কবি ফারুক মাহমুদ মেঘনা পাড়ের ছেলে হয়ে মেঘনাকে তাঁর মতো করে দেখার এক অনিন্দ্য সুন্দর চিত্রময়তা তাঁর জীবনের সঙ্গে কত যে গভীরভাবে জড়িয়ে আছে তাই তিনি তুলে ধরেছেন। 

আমাদের নদী হারিয়ে যাচ্ছে। আমরা নিজেরাই নদীকে গিলে খাচ্ছি। তারই এক ব্যঞ্জনাময় লেখা উঠে এসেছে এ কে শেরাম এর লেখায়। ‘নদীকে নদীর মতোই বাঁচতে দাও’ শিরোনামে লেখাটি পাঠককে মুগ্ধ করবে।

গৌরীপ্রসন্ন মজুমদারের লেখা এবং হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের গাওয়া ‘ও নদীরে একটি কথা শুধাই শুধু তোমারে/ বলো কোথায় তোমার দেশ তোমার নেই কি চলার শেষ/ ও নদীরে... এই গানের কথা দিয়েই ফরিদ আহমদ দুলাল তাঁর ‘আমার নদীকথা’ শিরোনামে লিখেছেন। তিনি লিখেছেন—  ‘একজন লেখকের জীবনে নদী হতে পারে প্রিয় অনুষঙ্গ—এ বোধটি আমার বুকে স্থিত হয়েছে অনেক পরে; কিন্তু যখন নদী অনুষঙ্গ হয়ে এলো; তখন থেকেই নদীর সাথে শুরু হলো কথোপকথন। হৃদয়বৃত্তির যেকোনো সংকটে নদীর কাছে ছুটে গেছি বারবার পরামর্শের জন্য। কতো রাত নদী তীরে শুয়ে একাদশীর চাঁদ ডুবিয়ে ঘরে ফিরেছি; সেসব গল্প অনেক লিখেছি কবিতা ও গদ্যে।’ ...একসময় নদীবক্ষে গেলেই নদীতে থুথু ফেলে দেখতাম কতদূর যায় থুথু; কিন্তু ১৯৭১-এর পর যখনই কোন নদীর সাথে দেখা হয়েছে, ততবারই মনে হয়েছে, এ নদীতে মিশে আছে আমার স্বজনের রক্ত; আমি আর নদীতে থুথু ফেলতে পারিনি। আমি আমার নদীদের কাছে যাই ত্রিশলক্ষ মানুষের রক্তঋণ স্বীকার করতে! আমার নদীরা যেন স্বজনের রক্তপ্রবাহের বেদনা। তাই আমি বারবার আমার দায়বদ্ধতার কথা স্মরণ করে অঙ্গিকারাবদ্ধ হতে যাই আমার নদীদের কাছে।’ নদী নিয়ে কবির ব্যক্তিগত অনুভূতির সুনিপুণ লেখাটি অনেক ঋদ্ধ লেখা। যা পাঠকের ভালো লাগবে, পাঠককে মুগ্ধ করবে।

মাহমুদ কামাল তাঁর ‘হায় নদী’ শিরোনামে লেখায় তিনি জানাচ্ছেন—  ‘নদীমাতৃক দেশ বাংলাদেশ—স্কুলে পড়েছি। কত নদ-নদীর কথা থাকতো বইয়ের মধ্যে। স্যার পড়াতেন। এখনো বলা হয় বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। ওই যে কাজীর গরু খাতায় আছে গোয়ালে নেই; নদীর হিসেব আছে আস্ত নদীই উধাও। আমরা যেমন নদী গ্রাস করছি—বড়ো মাছ যেমন ছোটো মাছকে খেয়ে ফেলে তেমনি আশেপাশের বড়ো ছোটো হিসেবে আমাদের নদীসমূহকে ‘নাই’ করে দিচ্ছে। নদী আছে পানি নেই। আবার মরে যাওয়া নদী অসময়ের পানিতে সমুদ্র হয়ে যায়। নদীর ভেতর রাজনীতি ঢুকে গেছে। পানির কোনো পাসপোর্ট নেই।  

‘নদীকথা’ শিরোনামে আফরোজা অদিতি লিখেছেন—‘নদীকথা লিখতে গিয়ে ছোটোবেলার স্মৃতি মনে পড়ে গেল। ছোটোবেলাতে আমাকে রাজনীতিতে হাতেখড়ি দেওয়ার মতো সাঁতার শেখানোর জন্য বাবার খুব চেষ্টা ছিল। আমাদের বাড়ির সামনে যে কাঁচা সড়ক ছিল (এখন পিচঢালা) তার ওপাশে ছিল জলে টইটম্বুর নদী। বছরের অন্যান্য সময় কম জল থাকলেও বর্ষাতে উপচে যেত। সড়ক উঁচু থাকাতে নদীর জল এপাশে গ্রামের ভেতর প্রবেশ করতে পারতো না। নদীটি দুইভাগে ভাগ এবং সুতা গাং আর খর গাং নামে পরিচিত ছিল। গাং দুইটি এখন নেই! সে সময় বুঝিনি তবে মনে হয় পদ্মা কিংবা ইছামতির জল এদিক দিয়ে এভাবেই বয়ে গেছে। কিংবা হতে পারে পদ্মা থেকে ইছামতি জন্ম নিয়ে এই ভাবে বয়ে তার মোহনা অর্থাৎ হুরসাগর নদীতে মিলেছে না-হয় হুরসাগরে মিলিত হয়েই বয়ে গেছে। যাহোক, ঐ গাঙে সাঁতার শিখাতে নিয়ে গিয়েছিল বাবা এবং চাচা। সাঁতার শেখার জন্য যখন ছেড়ে দিয়েছিল তখন ডুবে গিয়ে বেশ দূরে চলে গিয়েছিলাম। চাচাই বাঁচিয়েছিল। বাবা বলেছিলেন, ‘ওকে দিয়ে সাঁতার হবে না।’ অবশ্য আমাকে দিয়ে যেমন রাজনীতি হয়নি তেমনি সাঁতারও হয়নি। এরপর আর একবার ডুবে গিয়েছিলাম পাবনা ইছামতীতে; বর্ষার জলে টইটুম্বর নদীতে বাড়ির সকলের সঙ্গে গিয়েছিলাম গোসল করতে কিন্তু তীর থেকে অনেকটা দূর ভেসে গিয়েছিলাম সে সময় বাঁচিয়েছিলেন অজানা এক মানুষ। এরপর আর জলে নামার সাহস হয়নি। স্মৃতিচারণমূলক লেখা থেকে আমাদের  বিভিন্ন নদনদীর পরিচিতি তাঁর লেখায় উঠে এসেছে।

উদয় শংকর দুর্জয় ‘আক্রান্ত সাহিত্য স্রষ্টারা’ শিরোনামে মুক্তচিন্তা বিভাগে চমৎকার একটা লেখা উপহার দিয়েছেন। ‘রুশদিকে আমি প্রথম দেখি ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে, ন্যাশনাল ম্যানবুকার পুরস্কারের শর্ট লিস্টেড ছয় লেখককে নিয়ে লন্ডনের সাউথ ব্যাংক সেন্টারে অনুষ্ঠিত প্রোগ্রামে। এই প্রোগ্রামটা সাধারণত পুরস্কার বিজয়ী ঘোষণার এক বা দুদিন আগে হয়ে থাকে। কয়েক হাজার শ্রোতা-দর্শকের এই অডিটোরিয়ামে, রুশদির একই মঞ্চে বসে আছেন কানাডিয়ান লেখক মার্গারেট অ্যাটউড, তার্কিশ লেখক এলিফ সাফাক, ব্রিটেনের লেখক বার্নারডিন এভারিস্টো, নাইজেরিয়ান লেখক চিগোজি ওবিওমা এবং অ্যামেরিকান লেখক লুচি এলম্যান। সেবার রুশদি ডায়াসে দাঁড়িয়ে হাস্যোজ্জ্বল মুখে তার বই ‘Quichotte’ নিয়ে বলে যাচ্ছেন  আর শ্রোতারা মন্ত্রমুগ্ধের মতো শুনছেন। তার সেই উজ্জ্বল হাসি আমার মনের মধ্যে আজও ভীষণ রকম মিশে আছে।’ এছাড়াও আরও অনেকের লেখা আছে যা পাঠকের হৃদয় ছুঁয়ে যাবে।  
গুচ্ছ কবিতা লিখেছেন—সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল। 

আত্মজৈবনিক বিভাগে সেলিনা হোসেন লিখেছেন—আমার শৈশবের নদী করতোয়া। তখন আমার বয়স কত ছিল মনে নেই। শুধু এটুকু মনে আছে যে আমি তখন প্রকৃতি চিনতে শিখেছিলাম। সেটা পঞ্চাশের দশকের মধ্যভাগের কথা সে এক সোনালি শৈশব আমার। মাঠ-ঘাট, নদী-বিল, ধানক্ষেত, বনবাদাড়, পশু-পাখি, কীট-পতঙ্গ, গাছ-গাছালি ইত্যাদি নিয়ে এক আশ্চর্য রাজ্য আমার সামনে। সেই সঙ্গে পেয়েছিলাম ঘুরে বেড়ানোর অবাধ স্বাধীনতা। পারিবারের কারও শাসনের রক্তচক্ষু আমার পেছনে ধাওয়া করেনি। সেই বয়স থেকে আমি চিনতে শেখা শুরু করেছিলাম। বগুড়া শহরের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া করতোয়া নদী ছিল আমার জীবনের প্রথম নদী। এ লেখায় তিনি তাঁর দেখা পৃথিবীর নানান নদী নিয়ে দীর্ঘ একটি লেখা লিখেছেন। শেষে তিনি বলেছেন— ‘...নদীর রঙ কি কালো? আমি জানি না। এমন নদী আমি দেখিনি। গ্রীক পুরাণে লিথি নামে একটি নদীর উল্লেখ আছে। শুনেছি এ নামের অর্থ যে নদীর কাছে গেলে দুঃখ ভোলা যায়। আমি কোথায় এমন একটি নদী পাব?’

এছাড়াও আরো লিখেছেন—স. ম. শামসুল আলম, শিবলী মোকতাদির, সোহেল নওরোজ, নাছিমা আনোয়ারা বেগম। প্রতিটি লেখাই স্বতন্ত্র্য। নদীর সঙ্গে বাঙালির যে একটা আত্মিক বন্ধন তা এ লেখাগুলো থেকে পাঠক জানতে পারবেন। নদী কেন্দ্রিক প্রতিটি লেখাই পাঠকের আকৃষ্ট করবে। কারণ, প্রতিটি লেখতেই জীবনের স্ফূরণ অনুরণিত হয়েছে। 

ছোটগল্প লিখেছেন—ইসহাক খান, রোকেয়া ইসলাম, আনোয়ার কামাল, আমির হোসেন, মোজাম্মেল হক নিয়োগী, রানা জামান, সোলায়মান সুমন, শান্তা মারিয়া, শফিক আজিজ, হাবিব রহমান। সবকটি গল্পে নদীর মায়াময় সুখ-দুঃখ জাগানিয়া যাপিত জীবনের আনা অনুষঙ্গ, নানান ঘাত-প্রতিঘাত উঠে এসেছে গল্পের পরতে পরতে। 

কবিতা লিখেছেন—মুহম্মদ নূরুল হুদা, জাফর ওয়াজেদ, প্রাণজি বসাক, বিমল গুহ, খালেদ হোসাইন, মনজু রহমান, হাসান হাফিজ, বাদল মেহেদী, ধ্রুবজ্যোতি ঘোষ মুকুল, জসীম মেহবুব, রাহমান ওয়াহিদ, পলটু বাসার, মাসুদ অর্ণব, তৌফিকুল ইসলাম চৌধুরী, জাহিদ মুস্তাফা, ফেরদৌস নাহার, হোসেন দেলওয়ার, খৈয়াম কাদের, জরিনা আখতার, ফরিদুজ্জামান, জ্যোতির্ময় সেন, তমিজ উদ্দীন লোদী, দুখু বাঙাল, রফিক উল ইসলাম, হেনরী স্বপন, আবদুর রাজ্জাক, আমিরুল ইসলাম মুকুল, আমিনুল ইসলাম, জলিল আহমেদ, তপন বাগচী, রইস মুকুল, সোহেল মল্লিক, চন্দনকৃষ্ণ পাল, আউয়াল আনোয়ার, জাকির হোসেন কামাল, ফাতেমা সাইফুল বীনু, শফিক হাসান, মামুন মোয়াজ্জেম, রওশন রুবি, আনোয়ার রশীদ সাগর, আলী প্রয়াস, সৈয়দা নাজনীন আখতার, মাহফুজ রিপন, অতনু তিয়াস, বিপুল আধিকারী, জয়নাল আবেদীন শিবু, সাজ্জাদুর রহমান, সৌহার্দ সিরাজ, গোলাম মোস্তফা মুন্না, সুরাইয়া চৌধুরী, শাহ মুজতবা রশীদ আল কামাল, সোহেল মাহবুব, এইচ আলীম, দীপঙ্কর ইমন, অনন্য আমিনুল, শান্তিময় মুখোপাধ্যায়, যাকির সাইদ, সাব্বির রেজা, এ কে আজাদ দুলাল, মোহাম্মদ হোসাইন, সুশান্ত হালদার, ভোলা দেবনাথ, আশরাফুর রহমান খান, প্রত্যয় হামিদ, শিউল মনজুর, শারমিন সুলতানা রীনা, ইয়াসিন আযিয, মামুন কবীর, হাসিনা আহমেদ, আশ্রাব বাবু, শিউলি সিরাজ, এস এম তিতুমীর, শোয়েব মোঃ কামাল, ঊষাতন চাকমা, নুরুন্নাহার মুন্নি, এরশাদ জাহান, হাদিউল ইসলাম, শ্যামল কুমার সরকার, দ্বীপ সরকার। 

অণুগল্প লিখেছেন—আযাদ কালাম ও ফেরদৌস জান্নাতুল। অনূদিত বিদেশি গল্প : শামসুজ্জামান হীরা। অনূদিত বিদেশি কবিতা: তূয়া নূর। শেষের কলাম : প্রবাসের চিঠি—সালেহা চৌধুরী।

পরিশেষে বলতে হয়—এবং মানুষ নদীসংখ্যা একটি চমৎকার বিষয় নিয়ে পাঠকের কাছে তুলে ধরা হয়েছে। লেখাগুলো থেকে নদীকে বাঁচানোর আকুল আকুতি প্রতিফলিত হয়েছে। নদী আমরা গিলে খাচ্ছি। নদী আমরা ভরাট করে দখলে নিয়ে নিজেরাই নিজেদের জীবনের অমিত সম্ভাবনাগুলোকে গলা টিপে হত্যা করছি। কবে আমাদের শুভবুদ্ধির উদয় হবে? কবে বাঁচবে নদী? কবে বাঁচবে জীববৈচিত্র্য আর পাণিকূল।

এবং মানুষ। সাহিত্য বিষয়ক ছোটকাগজ। সম্পাদক : আনোয়ার কামাল। নদীসংখ্যা, বর্ষ ৮, সংখ্যা ২১, জানুয়ারি ২০২৩। মূল্য: ২০০ টাকা। প্রচ্ছদ : এম আসলাম লিটন।


আফসানা নাসরিন লেখক এবং কম্পিউটার প্রকৌশলী। তিনি বই এবং ছোটকাগজ নিয়ে আলোচনা লিখতে পছন্দ করেন।তাঁর এখন পর্যন্ত কোনো বই প্রকাশিত হয়নি।

menu
menu