যে গল্পের কোন ফলোআপ নেই

মশা মানুষের রক্ত খায়, এটা জানা কথা। কিন্তু সব মশা মানুষের রক্ত খায় না, এটা অনেকেই জানে না। আমিও জানতাম না। মশা পেট ভর্তি করে রক্ত খেলে সেটা দেখে রেগে যাওয়া কি স্বাভাবিক ঘটনা? তার চেয়েও আশ্চর্য, সেই মশা মারতে গিয়ে কেউ মশার ওপর এমন ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে তা মাহিনের এই মুহূর্তের পরিণতি না দেখলে কারও বিশ্বাস হবার কথা নয়। যা ঘটেছে তা বন্ধ দরজার ঘরের ভিতরে, মাহিনের শোবার ঘরে, সে তখন একা এবং তার আশেপাশে আর কেউ ছিল না। রত্না, তার স্ত্রী, সেও না।
যাই হোক, রক্ত খাওয়া মশা দেখে তার জন্য এত রেগে যাবার কী আছে মধ্যবয়সী এই মানুষের!
তারপর রাগ উঠায় সে যা করল তাতে তার ফল কিন্তু মোটেই ভালো হলো না। যা হলো, সেটা সামান্য ঘটনাও হলো না। রাগ হলো প্রকৃতপক্ষে, চণ্ডাল। ওটা জনগণের যারা বন্ধু-পুলিশ, রাজনীতিবিদ, ঋণখেলাপি, ভূমিদস্যু, বড়লোক নেতা এদের জন্য খাটে। কেননা, রাগই হলো তাদের শোভা। স্বর্ণের চেয়েও দামি অহংকার।
কিন্তু মাহিন তো তাদের মধ্যে পড়ে না। ফলে সে যা করল এবং যখন ব্যর্থ হলো তখন তার পরিণতি ভালো হলো না। কেননা, দ্বিতীয়বার এমন রাগ দেখাবার সুযোগ সে আর পাবে না।
কিন্তু বিষয়টি আমার কাছে মনে হয়েছে, অন্যরকম। রাগ মশার ওপরে নয়, রাগ অন্যখানে। অফিস থেকে বাসায় ফিরে এসে দেখে, মাহিনের বউ পাঁচ বছরের সংসার জলে ভাসিয়ে তাকে প্রায় ফোঁপরা করে দিয়ে বিশ লাখ টাকা দামের দ্বিতীয় গাড়িটা নিয়ে বাপের বাড়ি চলে গেছে। একটু আগে ফোনে বলেছে, সে আর ফিরবে না। তার নাকি কারণ একাধিক। যার একটিও মাহিন জানে না। ফোনে কারণ জানতে চাইলে বলেছে, ডিভোর্স চাই।
কেন? কোন জবাব না পেয়ে মাহিন শেষমেষ বলেছে, 
আমি দেব কেন? তোমার ইচ্ছে হলে তুমি দাও। জবাবে রত্না বলেছে,
না, তুমি দাও। আমি ফিরব না। তোমার মতো লম্পটের সঙ্গে আমি আর নেই!
বিষয়টি অনুমিত ছিল। তবে এত তাড়াতাড়ি সেটা মাহিন ভাবেনি। রত্নার এসব কথা শুনার পর ‘ধেত্তেরি’ বলে ফোন রেখে দিয়েছে মাহিন। আর যোগাযোগ করেনি। 
এই ঘটনা তিনদিন আগের।
তো, এর সঙ্গে মশার রক্ত খাওয়ার সম্পর্ক কী! ভেবে দেখলে, আছে। না দেখলে, নেই। 
অধিকাংশ মানুষই তো আজকাল ভাবনাহীন লাগামছাড়া। কেউ কি কোন কিছু ভেবে করে, না ভাবে! যেমন, আমাদের নগরকর্তা সারা শহরে কোটি টাকা খরচ করে পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেন করেছেন। এই বর্ষায় চার ঘণ্টার বৃষ্টিতে সারা শহরের বাসা-বাড়িতে হাঁটু পরিমাণ পানি জমে গেছে। ভাবনাহীন নাগরিক জীবনে জলের জোয়ার শহরবাসীর মেজাজ প্রবলভাবে নাড়া দিয়েছে শোনে নগরকর্তা নাকি বলেছেন, আমি কিছুই ভাবতে পারছি না! 
বুঝা গেল, তার অনভ্যস্ত মস্তিষ্ক কোনো উপায় ভাবতে বড়ই কষ্ট পাচ্ছে!
তবে মাহিন যা করল তার পিছনে একেবারেই ভাবনাহীন কিছু ছিল না এমন কথা বলা যাবে না। মাহিনের বউ রত্নার মতো সংসার ছেড়ে হঠাত্ চলে যাওয়া অযৌক্তিক মনে হলে নির্বোধেরও রাগ হতেই পারে। চরিত্রগত দিক থেকে মাহিন অত সবল নয় যে, ধরে এনে ঝুঁলিয়ে দিয়ে টাকার জোরে বেঁচে যাবে। গলা চিপ দিয়ে ফেলে রেখে হাওয়াই জাহাজে চড়ে নিরুদ্দেশ হবে! সে হচ্ছে মুখোশ পরা তথাকথিত ভদ্রলোক। এই যে রত্নার এমন কাণ্ডটা, এই বিষয়ে সে কি কাউকে কিছু বলবে? বলবে না। বলতে গেলে আম ও ছালা দুটোই যাবে! সুতরাং চুপ। শোনলে পাড়া প্রতিবেশী, আত্মীয়-স্বজন রসালো কথা বলবে, কোনো উপকারে আসবে না। 
একা ঘরের ভিতরে এদিক ওদিক পায়চারি করতে করতে মাহিন ভাবে। রত্নাকে সে ভালোবেসে পাঁচ বছরের কাছাকাছি হলো বিয়ে করেছে। বিয়ের পর সাব-রেজিস্টারের চাকরির ঘুষের টাকায় কেনা ধানমণ্ডিতে একটা ফ্ল্যাট সে রত্নার নামে লিখে দিয়েছে। বিয়ের খরচ মিটিয়ে জমানো টাকা লাখ দশেক যা ছিল সব ভালোবাসার নামে এফডিআর করে দিয়েছে বিয়ের পরের বছর। সেই সঙ্গে ওর বেকার ভাইকে ব্যবসা করার জন্য পুঁজি দিয়েছে পাঁচ লাখ টাকা। রত্নার অবিবাহিতা ছোট বোনকে গত বছর লাখ দশেক টাকা খরচ করে বিয়ে দিয়ে দিয়েছে। গেণ্ডারিয়ায় শ্বশুর বাড়িটা একতলা থেকে দোতলা করে ভাড়া থেকে আলাদা আয়ের ব্যবস্থা করে দিয়েছে। আর সেই মেয়ে কিনা বলা নেই, কওয়া নেই তিন বছরের মেয়েটিকে নিয়ে বাপের বাড়ি গিয়ে বসে আছে! বলেছে,
ডিভোর্স চাই! হোক ঘুষের টাকা। দিনরাত তার রক্ত জল করা টাকা, সবকিছু শুষে নিয়ে সরে যাওয়া। এ কি পুতুল খেলা! ইচ্ছে হলো খেললাম, ইচ্ছে হলো না তো, আর খেলব না, এমন বিষয়!
মাহিনের ভাবনাহীন জীবনে হঠাত্ এমন জটিল ভাবনায় কোনো কূল কিনারা করতে না পেরে ওর মেজাজ আছে খিঁচড়ে। 
পারদ উপরের দিকে চড়ছে।
আজও রাতে কিছু না খেয়ে রাত দশটা থেকে নিরালা ঘরে মিহি সাদা নেটের মশারির নিচে চিত্ হয়ে শোয়ে আছে মাহিন। ভাগ্যিস্, মানুষ চিত হলে কাত হতে পারে। তেলাপোকা পারে না। রেলস্টেশন রোডের চিত-কাত হোটেলে তেলাপোকা ও মানুষ একসঙ্গে ঘুমায়। মানুষ চিত হয়ে, তেলাপোকা বালিশের পাশে, তোশকের নিচে উপুড় হয়ে। ঘুমালেও ওদের লম্বা শুঁড় নাচে। মাহিনের মগজের ভিতরে তেলাপোকার পা, শুঁড় কিলবিল করে হাঁটে। ছাদের জমিনে চোখ রেখে ঘণ্টায় একশো আশি কিলোমিটার বেগে ছুটছে ওর মনের ঘোড়া। সামনে ঘোর অন্ধকার। ঘড়ির কাঁটায় রাত বারোটা। 
ঘুম আসছিল না কিছুতেই। মনে পড়ছিল মেয়েটির মুখ। তিন বছরের অবুঝ শিশুর জীবন বুঝতে না বুঝতেই ভাঙনের কিনারায় দাঁড়িয়ে কঠিন জীবনের চেহরাটা দেখতে শুরু করেছে। যদিও সে এখনই কিছু বুঝতে পারবে না। বড়রা নিজেদেরটা ভাবে, শিশুদেরটা না। মাহিনের টাকা থাকলেও সে বোকা, একদর্শী। যে আঘাত পেলে আহত হয়, প্রতিক্রিয়া দেখায় একতরফা। সেজন্যে নিদ্রাহীন রাত তার জন্য অপ্রাপ্য নয়।
অন্তহীন ভাবনার এই সময়ে একটি হালকা পাতলা মশা কানের পাশ দিয়ে উড়ে যেতে যেতে ওর ভাঁজ পড়া কপালের উপরে বসতে গিয়েও বসল না। পায়ের আঁচড় লাগিয়ে বুদ্ধিমানের মতো উড়ে গিয়ে হাতের নাগালের বাইরে মশারির ডান কোণায় ঠাঁই নিল। মশারির ভিতরে মশা থাকলে ওটাকে না মারা পর্যন্ত রত্নার ঘুম হয় না। মাহিন তাতে গা করে না। বলে, মশা তো! এইটুকু পেট! ও আর কতটুকু রক্ত খাবে!
কিন্তু রত্না মশারির ভিতরে হাঁটু মুড়ে বসে এক্রোবেটিক স্টাইলে এঁকে বেঁকে, উঁচু-নিচু শরীর ঝাঁকিয়ে দুই হাতের তালুতে মশা মারে। সেই সময় সে মাহিনকে দেখে, মাহিন ওর দিকে তাকিয়ে আছে। মেয়েরা পুরুষের সব দৃষ্টির অর্থ বোঝে। বেশি কাছাকাছি হবার আগে মাহিন সচরাচর পেছন দিক থেকে জড়িয়ে ধরে কানের লতি, ঘাড়ে চুমু দিয়ে শুরু করে!
মাহিন আজ এসব ভাবতে চাইল না। শুয়ে শুয়ে দেখা মশাটার দিকে তাকিয়ে থেকে ভাবছে, জীববিজ্ঞানের ছাত্র হিসেবে সে জানে, ওটা যদি পুরুষ মশা হয়ে থাকে তাহলে ওর আয়ু মাত্র চব্বিশ ঘণ্টা। আগামী দিন সকালে তাকে আর দেখা যাবে না। সে মানুষের রক্ত খায় না। যদি সে নারী মশা হয়, তাহলে ছয় থেকে আট সপ্তাহ পর্যন্ত বেঁচে থাকবে। পৃথিবীর সবচেয়ে মারাত্মক প্রাণী হচ্ছে এই নারী মশা। সে রক্ত খায়, রোগ ছড়ায়। মাহিন যদি ওকে না মারে তাহলে আগামী দিন সকালেও তাকে দেখা যাবে। রত্না হলে তাকে মরতেই হতো। 
রত্না নেই, মাহিন ওকে মারবে না, থাক।
শত দুঃখেও মানুষ খায়-দায়, ঘুমায়, মৈথুনে জড়ায়। ক্লান্ত-শ্রান্ত মাহিনও ঘুমিয়েছে। সকালে মাহিনের ঘুম ভাঙল রিনির ফোন পেয়ে। ওপাশ থেকে রিনির প্রথম সংলাপ, 
রত্না নাকি তোমাকে ছেড়ে চলে গেছে?
তুমি জানলে কী করে?
ও নাকি ডিভোর্স চেয়েছে?
এতসব তুমি জানলে কী করে? রত্না বলেছে? প্রায় চিত্কার করে মাহিন। রিনি নরম করে বলে,
দিয়ে দাও। আমি তো আছি। আমাদের মাঝখানে আর কেউ রইল না।
মানে?
রিনি এই প্রশ্নের কোনো জবাব দিল না। হাসতে হাসতে ফোনটা রেখে দিল।
হঠাত্ ঘুম ভেঙে রিনির এই ফোনে প্রচণ্ড রাগে মাহিনের শরীর রি রি করতে করতে মাথার ভিতরে আগুন জ্বলতে লাগল। চোখ পড়ল মশারির বাম দিকের দেয়ালে পাকস্থলি ভর্তি রক্ত নিয়ে রাতের মশাটা পোয়াতির মতো পেটটা বুলিয়ে বসে আছে। মাহিনের মুখ থেকে কেবল উচ্চারিত হলো, ওহ শালা!
তারপরই বলতে গেলে ওটাকে মারার জন্য সে ঝাঁপিয়ে পড়ল মশাটার ওপর।
মশা মাছির মতো দ্রুত উড়তে না পারে না। তাবুও কখনো কখনো মশা মারা অত সহজ নয়। মাহিন দুই হাত বাগিয়ে মোনাজাতের ভঙ্গি থেকে ঠাস্-নমস্কার তক্ আসতে আসতে মশাটা নেইমারের মতো ড্রিবলিং করে দুই হাতের তালুর নিচ দিয়ে বেরিয়ে গেল। আর মাহিন শোয়া থেকে আচমকা উঠে ঝাঁপিয়ে পড়ার সময় নিজের ভারসাম্য হারিয়ে প্রচণ্ড জোরে কপাল ঠোকা খেল খাটের বাজুতে। তাতে দমল না সে। প্রচণ্ড ব্যথায় দ্বিগুণ রাগে ও তার শরীর থেকে শুঁষে নেয়া রক্তখেকো মশাটাকে যন্ত্রণায় আধবোজা চোখ দিয়ে খুঁজতে লাগল।
পেল। খাটের যে পাশ দিয়ে মাটিতে নামা হয় সেদিকের মশারির জালে পাওয়া গেল তাকে। নিশ্চিন্তে বসে আছে। শরীরটা হালকা হলেও কালচে রক্তবাহী পেট নিয়ে সে খুব বিব্রত বলে মনে হলো না। হাঁটুর চাপে মাহিনের লুঙ্গির গিঁঠ খুলে গেছে। এক প্রান্ত তুলে কোমরে জড়াতে গিয়ে সে টের পেল বাম হাতের কনুইয়ে প্রচণ্ড ব্যথা। ভারি শরীরের পুরো চাপটা পড়েছে হাতটার উপর। বাম দিকের বুকেও লেগেছে জোর। যার ফলে শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে। মশারির গায়ে শিকারকে সামনে রেখে হাঁটু মুড়ে বসে কিছুক্ষণ দম নিল মাহিন। আবার ‘ঠাস’ করার আগে বুঝতে দিতে চায় না মশাটাকে যে, রক্ত চোষার দিন ঘনিয়ে এসেছে।
কিন্ত আবারও ভুল হলো মাহিনের। যন্ত্রণাকাতর শরীরটাকে হাঁটুর উপরে ধীরে ধীরে খাড়া করে মশার কাছে নিতে নিতে দুই হাত বাড়িয়েছে, সেই সঙ্গে নৈকট্য লাভের জন্য দুই হাঁটুও গেছে সামনের দিকে। খেয়াল করেনি যে, একটু বেশিই এগিয়েছে সে। উদ্যোগের মাঝপথেই মশারির সঙ্গে খাটের স্ট্যাণ্ড জড়িয়ে কিছু বুঝতে পারার আগেই মাটিতে পড়তে পড়তে মাহিন শুধু ঘোলা চোখে দেখেছে, নিরেট টাইলসের মেঝেতে মাথাটা নিচের দিকে তাক করে নামছে। একটা তীব্র যন্ত্রণার ভিতর দিয়ে তারপর তার আর কিছু মনে নেই।
যা দেখার আগে মাহিনের চোখ বন্ধ হয়েছে, তা হলো, ফুট তিনেক উঁচু দরবারি খাট থেকে দ্বিতীয়বার টাল সামলাতে না পেরে বেমাক্কা মাটিতে পড়ে যাওয়ার শব্দ সবসময় যেমন হয়, তেমনই হলো। ভোঁতা ‘ধপ্’ করে একটা শব্দ, তার পরপর মশারি সহ খাটের বাজু টানের চোটে চার মাথার জয়েন্ট খুলে ভেঙে পড়ার সময় তার একটি ডাণ্ডা তীরের ফলার মতো ছুটে গিয়ে সামনের ড্রেসিং টেবিলের উপর রাখা চব্বিশ ইঞ্চি টিভিকে খোঁচা দিলে সেটা বেড সাইড টেবিলের উপর থেকে ফুলদানিটাকে বগলের নিচে নিয়ে মাটিতে পড়ল। খাটের আরেকটি বাজু টিভির উপরের দেয়াল থেকে বাহারি ঘড়িটাসহ নেমে এলো মাহিনের মাথার উপর।
বলে রাখি, এই ঘটনার আর কোনো ফলোআপ হবে না। 
যেমন হয় না বহু বহু ঘটনার। সাগর-রুনি, সিনহা, তন্বীসহ আরও আরও এবং সেই মেয়েটির, যে কিনা বড়লোকের ঘরণী হবে বলে প্রতারণার ফাঁদে পড়ে আত্মহত্যার শিকার হয়েছে-এই সবের মতো।
কোন খবর হবে না, করোনাকাল বলেও। পাড়া প্রতিবেশী আত্মীয়-স্বজন এই বিপর্যয়ের খবর কেউ জানবে না! 
কাজের বুয়াকে রত্না এক সপ্তাহের ছুটি দিয়ে গেছে। সেও প্রতিদিনের মতো সকালে এসে কলিং বেল টিপবে না। যদি আসেও, নক করলে ভিতর থেকে কেউ দরজা না খুললে গা করবে না। বরং কাজ করতে হবে না ভেবে চলে যাবে। অফিসে মাহিন নিজেই নিজের বস। সাব-রেজিস্টার সাহেব এজলাসে দুই-তিনদিন না গেলে কেউ জানতে চাইবে না আজ তিনি অফিসে আসবেন কি না!
ওদিকে মোবাইলটা বাজতে বাজতে এখন থেমে গেছে। ফোনটা রত্না অথবা রিনি যে কারও হতে পারে।
কেবল দরজার বাইরে থেকে বদ বু পেয়ে কেউ খবর দিলে পুলিশ আসবে। কথা এক কান দুই কান হতে হতে সবাই বিশ্বাস করবে, একা ঘরে করোনায় মারা গেছে মাহিন। লাশটা তুলে নিয়ে গিয়ে একসময় মাটি চাপা দিয়ে দেবে আঞ্জুমানে মফিদুল। কিন্তু যার জন্যে মাহিনের এই দশা সে অঘটনের পরপরই উল্টানো মশারির ফাঁক গলে বের হয়ে উড়তে উড়তে এসে ওর কপালে টিপ হয়ে বসে আছে। হয়তো বা হজমের অপেক্ষায়। তারপর আবার।


আনোয়ারুল হক কবি, কথাসাহিত্যিক এবং প্রাবন্ধিক

menu
menu