মর্নিং ওয়াক
এদের মর্নিং ওয়াকের একটা গ্রুপ আছে। তাতে অনেক চরিত্র। চারদিক ঘেরা ওয়েলমেন্টেন্ড সল্টলেকের এফ সি পার্ক। সকাল সন্ধে নারী পুরুষ অনেকেই এখানে আসে শরীর চর্চা করতে। শুধু এফ সি ব্লক নয় অন্যান্য ব্লকের লোকজনও আসে। এখানে বসার সাধারণ জায়গা ছাড়া ও সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য একটি শেড আছে। সেটাই এদের আড্ডা মারার জায়গা। এই গ্রুপের এক সদস্য হলো কাঞ্জিলাল। কিংশুক কাঞ্জিলাল। সদস্যরা ওকে 'কাঞ্জি' বলে ডাকে।
সেই কাঞ্জি আড়াই পাক দিয়ে শেডে এসে বসে পড়ল। বসেই ডাক ছাড়ে
"এই উত্তম, চা দে আর বেকারি বিস্কুট দে। আদা একটু বেশি দিবি।"
এই কাঞ্জি একটি নামি ওষুধ কোম্পানির সেলস ডিপার্টমেন্টে কাজ করত। বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত। সংসারে স্ত্রী বিধবা মা ও একটি ছেলে। ছেলে আবার বিদেশে পড়াশোনা করে। স্ত্রী ও স্কুলে চাকরি করে। ছোট্ট সুখী পরিবার। কাঞ্জি আবার রসেবসে থাকতে ভালোবাসে। সেজন্য সকালে ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়ে যায়। মর্নিং ওয়াকে আসতে ও দেরি। যদিও এই গ্রুপের বেশির ভাগ সদস্যরাই একটু দেরিতে পার্কে ঢোকে।
"মাইতিদা চা বলা হয়ে গেছে ।"
"উত্তমের চা দিতে দিতে এক পাক হয়ে যাবে।" কাঞ্জির কথার উত্তরে মাইতিদা।
মাইতিদা মফস্বলের একটি নামী কলেজের অধ্যাপক। কলেজের এই ডিপার্টমেন্ট ইভনিং সেকসনে। সে কারনে মাইতিদা একটু দেরিতে কলেজে যায়। আবার ফিরতে ফিরতে অনেক রাত ও হয়ে যায়। তা সেই মাইতিদার কলেজে যেমন দাপট গ্রুপের মেম্বারদের মধ্যেও। একে অধ্যাপক তায় সব বিষয়ে বলিষ্ঠ যুক্তিপূর্ণ বক্তব্য রাখা অভ্যেস। কোনকিছু রেখে ঢেকে বলার পরোয়াই নেই। আবার কেউ কোন বিষয়ে ভুল তথ্য দিলে তৎক্ষণাৎ মোবাইলে চেক করে তা ধরিয়ে দেয়। পরোপকারে ও মাইতিদার জুড়ি মেলা ভার। সঙ্গত কারণেই বাকি সদস্যরা মাইতিদাকে আলাদা চোখে দেখে। সেই মাইতিদা পাক শেষ করে এই শেডে এসে বসে। গ্রুপের আলোচনা জমে ওঠে। গ্রুপের আলোচ্য বিষয় ধর্মীয়, রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক সব বিষয়ই।
"অনেক দিন হলো কুজোকে দেখছি না তো?" মাইতিদার জিজ্ঞাসার উত্তরে কাঞ্জি বলে উঠল।
"অ্যামিউজমেন্ট পার্কে নতুন চাকরি পেয়েছে। সেখানে বসতে হচ্ছে। না হলে ডেথ সার্টিফিকেট দিতে গেছে হয়তো দেখুন।"
এমন অনেক চরিত্র আসবে সঠিক সময়ে পাঠক তাদের পরিচয় পেয়ে যাবেন।
"মাইতিদা, পার্টনারকে ডাক দিয়েছেন?" চা সবাইকে সার্ভ করতে করতে কাঞ্জি জিজ্ঞেস করে।
"হ্যাঁ। ধর্ম ডাক দিয়েছি, ওই আসছে।" সংক্ষিপ্ত উত্তর মাইতিদার।
উত্তম দু গ্লাস চা দিয়ে যায়। একটা চিনি অন্যটা বিনা চিনি। সঙ্গে বিস্কুট ও পেপার কাপ। কাপে চা ঢালার কাজটা করে মাইতিদাই। কারা চিনি আর চিনি ছাড়া ওটা ওনার মুখস্থ। তা চায়ের আমেজ ও গল্পে আড্ডা। আড্ডার মধ্যে—
"আচ্ছা আজ ঝিমকে দেখছি না, শরীর ঠিক আছে তো? দেখো গে করপোরেশনের এর টার্মটার অ্যাপ্রুভ্যাল আটকে গেছে।" মাইতিদার কথার অনুরণন শোনা যায় কাঞ্জি ও ছোট মৃন্ময়দার কথায়। একে একে রসরাজ বোস, সাধের সাউ, পোপোট ও গ্রুপের বাকিরা আসে। আড্ডায় জমে ওঠে। চা শেষ আড্ডা ও শেষ। একে একে বাড়ির পথ ধরে। স্কুল, কলেজ, অফিসে যেতে হবে। ওঠার মুখে মাইতিদা বলে ওঠে
"আজকে আর ক্যান্সার এলো না।" কাঞ্জির তৎক্ষণাৎ সংযোজন" না। আসার এখনো সময় হয়নি। সাড়ে দশটার সময় ও আসে।"
পরের দিনের আড্ডা শুরু হওয়ার আগেই গ্রুপ সদস্যদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দি।
রসরাজ বোস—ইনি প্রশাসনিক পদে আছেন। রসেবসে থাকতে খুব পছন্দ করেন। সবার সঙ্গে খোলামেলা মেলামেশা করেন। প্রশাসনের অন্য অনেকের মতো আমি হনু ভাব নেই। সাহায্যের হাত বাড়ানোয় তেমন কার্পণ্য নেই। বন্ধুবান্ধবদের আড্ডা মারা খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা মাঝে মধ্যেই করে দেন। যাতায়াতের ও ব্যবস্থা করেন। এসব আবার অনেক সময় বিনামূল্যে হয়। তবে ইনি শাসকদলের অতি ঘনিষ্ঠ সমর্থক। অর্থ প্রতিপত্তি ক্ষমতা প্রোমোশন সবই চাই। পত্নী ভাগ্যে বেশ কয়েক বার বিদেশ ভ্রমণ করা ও হয়ে গেছে।
ছোট মৃন্ময়দা—ইনি সেকালের ইঞ্জিনিয়ার। বয়স আশি ছুঁই ছুঁই। মিলিটারিতে সারা জীবন চাকরি। সংসার ও সংসারের দায়িত্বজ্ঞানের বাড়াবাড়ি। কাজের মেয়ে ঠিক কাজ করছে কিনা, পার্কে কে কোনদিকে ব্যায়াম করছে। সবেতেই নজর।এর জন্য যে মাঝে মধ্যে ঝামেলা হয় না তা কিন্তু নয়। বাকিদের সামাল দিতে হয়। মনটি খুব ভালো। গল্প কথায় সবাইকে আমোদিত করার জুড়ি মেলা ভার। হিসাব পত্তর কাগজপত্র সিস্টেমেটিকভাবে রাখেন বলেই ব্লকের অনেক দায়িত্বই বহু বছর ধরে সামলে আসছেন।
তুলসি দাস বন্দ্যোপাধ্যায়—দীর্ঘদেহী। ইংরেজিতে দড়। রিজার্ভ ব্যাংকের একজিকিউটিভ ডাইরেক্টর ছিলেন। ভোগী পুরুষ তবে সঙ্গে পার্স রাখার খুব একটা অভ্যেস নেই।
ঝিমদা—পড়াশোনায় দড়। বিদেশ থেকে ও উচ্চশিক্ষা আছে। সরকারি উচ্চপদে থেকে অবসর। এখনো বিভিন্ন সরকারি কমিটিতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। মিতভাষী কিন্তু বিতর্কিত বিষয় তুলে দিয়ে কেটে পড়ায় জুড়ি নেই। আবার ভীষণ ইনফরমেটিভও বটে। পাড়া পড়শি ও অন্য বিভিন্ন বিষয়ে যেন সব খবর জমা থাকে ওনার কাছে।
সাধের সাউ—স্কুলশিক্ষক। মাথায় টাক অকাল বার্ধক্যের প্রতীক। শাসকের অধুনা সমর্থক। বিনয়ী ও মিশুকে।
বুদ্ধ ব্যানার্জি—সাংঘাতিক ডায়নামিক। সম্পূর্ণ নিজ প্রচেষ্টায় কর্মক্ষেত্রে শীর্ষস্থানে অধিষ্ঠান। কর্তব্য পালনে নিষ্ঠাবান। অনেক গুণের মধ্যে রান্না ও গাড়ি চালানো বাঁয়ে হাত কা খেল।
পি আর সেনগুপ্ত—নিজেকে শাসকের পাড়াতুতো দাদা মনে করে প্রচ্ছন্ন তৃপ্তি। অনেকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার উদ্দেশ্যপূর্ণ প্রয়াস। চাকরির অফিসে তোমার দেখা নাই রে।
দত্তদা—বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মী ছিলেন। বিপত্নীক। রসেবসে থাকতে ভালোবাসেন।
ক্যান্সার—ইনি ক্যান্সারের চিকিৎসক। বিখ্যাত সরকারি ক্যান্সার হাসপাতালের সুপার ও ছিলেন। অবসর জীবন। মজার মানুষ। খেতে ভালোবাসেন কিন্তু হাত খসাতে নয়।
'গুড মর্নিং মাইতিদা' কষ্টকল্প বনিকের সম্ভাষণ। কাটা নামে গ্রুপের বেশি সদস্যের কাছে এর পরিচিতি। দলিতদের সেল্ফ স্টাইলড নেতা মনে করে নিজেকে। আদ্যোপান্ত ভোগী আসলে মুখোশধারী সুবিধাবাদী শোষক। অনেকের মতো মাইতিদা ও একে ইগনোর করে। তবে প্রত্যুত্তরে 'মর্নিং' বলে এগিয়ে যায়।
বুদ্ধ ব্যানার্জি 'কি মাইতিদা আজ তাড়াতাড়ি—এখানে পার্টনার কই?' জগ করতে করতে এগোয়। 'মৃন্ময়দা' বলে মাইতিদা এফ সি সেভেন বাড়ির সামনে এসে ধর্ম ডাক দেন। বারান্দা থেকে বউদি বলে ওঠেন 'নিচে নামছে'। মৃন্ময়দার সঙ্গে সম্ভাষণ পর্ব শেষ করে দুজনে বাক্যালাপ করতে করতে এগোয়। মাঝে অনেকের সঙ্গে 'গুড মর্নিং' পর্ব সারতে হয়। কয়েক রাউন্ড দিয়ে আড্ডায় বসে। দ্বিতীয় রাউন্ড চা এসে গেছে। রসরাজ বলেন 'অনেক দিন পার্টি হয়নি। একটা হয়ে যাক।'
কাঞ্জি 'কোথায় করা যায়?' বুদ্ধের সংযোজন 'কেন বস, হাওড়ার বাংলোয় হোক। 'বাকি সবাই এক কথাতে রাজি। মেনুতে থাকবে সর্ষে ইলিশ, ইলিশের মাথা দিয়ে পুঁইশাক। কচি খাসির আলু দিয়ে ঝোল। সরু চালের ভাত। হাতে গড়া রুটি ও থাকবে। ডাল, পাপড়, চাটনি ও শেষ পাতে গরম রসগোল্লা। আর চাটে মৌরলা ফ্রাই, পমফ্রেট ফ্রাই, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই আর বেকড মিক্সট ভেজ। ব্রান্ড যার যেমন। এই সময় মৃন্ময়দা বলে ওঠেন—
”প্রফেসরের জন্য কি থাকছে? উনি তো আমাদের মত নয়, উনি তো বেরসিক।”
“কেন কোল্ড ড্রিংক থাকবে।” সাধের সাউের সংযোজন। চল চল রব ওঠে। সবার মধ্যে বাড়ি ফেরার তাড়া। কাঞ্জি বলে—
“ওই ক্যান্সার ঢুকে গেছে।”
"ছেলেকে পৌঁছে দিয়ে বেরুব এমন সময় বেবির ফোন 'আসতে দেরি হবে'।" ক্যান্সারের অ্যজ ইউজুয়াল উত্তর।
বাকিরা নিজের বা অন্যের গাড়িতে হাওড়ার স্পটে পৌঁছে গেছে। মাইতিদাই দেরি। কলেজ থেকে ট্রেনে আসতে তো একটু দেরি হবে। পকেটের মোবাইল বেজে ওঠে। মোবাইলের অপর প্রান্ত থেকে ছোট মৃন্ময়দা
"কি প্রফেসর কত দূর?"
"এসে গেছি স্টেশনে ট্রেন ঢুকছে।" স্টেশন থেকে অটো করে স্পটে পৌঁছে মাইতিদা দেখে আসর জমে উঠেছে। আলো করে বসে তুলসিদা। মুখে একটা হাতে আর একটা পমফ্রেট ফ্রাই। বাঁ হাতে গ্লাস। গল্পে আড্ডায় খানা পিনায় আসর জমজমাট। এর মধ্যে চাটের প্লেট 'কাঁদিয়া বেড়ায়'। কাজের ছেলেটা কোল্ড ড্রিংক নিয়ে ঢোকে। তাকে দেখে তুলসিদা অনুনয়ের সুরে বলেন—
"ভাই আর একটু মৌরলা হবে? আমি বেশি পাইনি ।" মাথা নেড়ে না জানিয়ে চলে যায় ছেলেটা। যদিও এর মধ্যে তিন বার মৌরলা দিয়ে গেছে। বেশিটা কিন্তু তুলসিদার ভোগে গেছে। রাতে এতটা রাস্তা ঠেঙিয়ে বাড়ি ফেরার তাড়া সবার। সেজন্য ডিনারে ভিড় লাগায় সবাই। বুফে ও বসে খাওয়ার সুন্দর ব্যবস্থা। এখানে তুলসিদা ও দত্তদা দুজনেই অন্যদের চমকে দেওয়ার পারফরম্যান্স দিলেন। বেরনোর ঠিক আগে একটা ঝামেলা হল। রসরাজ আর কাঞ্জি ছয় পেগের পর দুঃখের গল্প শোনাতে ব্যস্ত। উঠতেই চায় না। বহু কষ্টে ওদের গাড়িতে তুলে চোঁ দৌড়। রাত সাড়ে এগারটায় বাড়ি পৌঁছে মাইতিদাকে সিকিউরিটিকে ডেকে তুলতে হল। বাড়ির সবার গম্ভীর মুখ দেখে শয্যা গ্রহণ করতে হলো।
আজতো কুজো তাড়াতাড়ি মাঠে চলে এসেছেন। ইনি একজন ডাক্তার। জেনারেল ফিজিশিয়ান। দেশে চাকরি জোটেনি। লিবিয়াতে চাকরি ও জীবন যৌবন কেটেছে। নিন্দুকেরা বলে মহিলাদের চিকিৎসা ঝুঁকে ঝুঁকে করতে করতে কুজো হয়ে গেছে। আজ কুজো কোরআনের ওপর জ্বালাময়ী ভাষণ দিচ্ছেন। আর সবাই চোখ বড় করে গিলছে। প্রতিটি যুক্তিই বলিষ্ঠ। এর মধ্যেই দু রাউন্ড চা হয়ে গেছে। এবার ফেরার তাড়া।
আজকের আড্ডায় ঝিমদা একটি ইস্যু তুলে দিয়ে যথারীতি কেটে পড়েছেন।
"আচ্ছা মাইতিদা, ব্যাংকে টাকা রাখলে এক লাখের বেশি পাওয়া যাবে না। এটা কি ঠিক?" মাইতিদার উদ্দেশ্যে কাঞ্জির জিজ্ঞাসা।
"কে বলল?"
"ঝিমদা।"
"তাহলে নিজে লাখ লাখ টাকা প্রাইভেট ব্যাংকে রাখতেন না। বরং ইনসুরেন্স ভ্যালু গভর্নমেন্ট বাড়িয়ে দিয়েছে।" মাইতিদার উত্তরে সবাই মোটামুটি আশ্বস্ত।
"ওসব ছাড়ুন, ঝিমদার বাড়িতে একটা পার্টির ব্যবস্থা করুন।" মাইতিদার প্রস্তাবে সঙ্গে সঙ্গে ডেট মেনু সব ঠিক হয়ে গেল। সঙ্গে সঙ্গে চাঁদা ও অনেকটা ওঠে গেল। ঠিক হলো বাকিদেরটা অন স্পট নেওয়া হবে। তবে কুক কোথায় পাওয়া যাবে? এবার বুদ্ধ ব্যানার্জিকে পাওয়া যাবে না। কুছ পরোয়া নেই মাইতিদাই এবার কুক।
আজ ১৭ মার্চ ২০২০ মঙ্গলবার। সন্ধে ছ টায় সবাই হাজির। আজকের সরঞ্জাম অরগানাইজ করার দায়িত্ব ছিল কাঞ্জি ও সাউের ওপর। ওরা মাছ মাংস সব কিছু ধুয়ে ম্যারিনেট করে রেখেছে। রুটি ও অন্য প্রয়োজনীয় যোগাড়ের কাজ বামালের ওপর। বামাল বার্কে (BARC) চাকরি করে। অনেকে হেঠা করলে ও বামাল কিন্তু আমুদে। ক্যান্সার যথারীতি আসতে দেরি। চাট দিয়ে পানের আসর জমে উঠেছে। 'মাছ ভাজা আর কারুর চাই'? মাইতিদার কথায় ক্যান্সার হাত তুলে বলে 'আমার একটা '। এমন সময় দত্তদা টিভি চালিয়ে দেয়। ব্রেকিং নিউজ করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। কাল থেকে সারা দেশে লক ডাউন। নিস্তব্ধ নীরবতা নেমে আসে পার্টিতে। কোনক্রমে ডিনার শেষ করে যে যার বাড়ি ফিরে যায়। পরদিন সকালে পার্ক এক্কেবারে সুনসান। জনপ্রাণী নেই। আড্ডা নেই। পার্কের বসার জায়গা গুলি সব ফাঁকা। সিটিজেন সিটগুলোও শূন্য। গোটা পার্ক জুড়ে শুধুই শূন্যের নীরবতা।
• সজল কুমার মাইতি, কথাসাহিত্যিক, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত।