জায়গা দখল

হাবিব সাহেব দুশ্চিন্তায় আছেন। সাদ্দাম মার্কেটের পিছনের দিকে তার তিন কাঠার একটি জায়গা আছে। তিনি চিন্তায় আছেন কখন জায়গাটা আবার অন্য কেউ দখল করে ফেলে। তিনি শুনেছেন রাজনৈতিক দলের কর্মী কালা ফারুখ তার জায়গার আসেপাশে ইদানীং ঘোরাঘুরি শুরু করে দিয়েছে । কালা ফারুখের কাজই হচ্ছে ভুয়া দলিল তৈরি করে অন্যের জায়গা দখল করা।  এই কালা ফারুখ যদি তার জায়গা দখল করে ফেলে তাহলে জীবনেও তিনি সেই জায়গা পুনরুদ্ধার করতে পারবেন না। জায়গাটা খালি ফেলে রাখা ঠিক হচ্ছে না। ওখানে কিছু একটা তৈরি করে অন্তত দখলটা ঠিক রাখা উচিত। তিনি একথা বুঝেন ঠিকই কিন্তু ওখানে কিছু একটা করতে গেলে যেই টাকা লাগবে সেই টাকা তার হাতে নেই। সত্যি বলতে কী তার ভবিষ্য তহবিলে কিছু টাকা আছে । সেই টাকা তিনি খরচ করতে চান না। কারণ মেয়েদের বিয়ের সময় টাকা লাগবে। এখন যদি সেই টাকায় হাত দেন তাহলে মেয়েদের বিয়ের টাকা তিনি কোন্থেকে পাবেন। ভাই-বোনদের মধ্যে তার অবস্থাই একটু ভালো। অন্যদের অবস্থা আরো খারাপ। সুতরাং তার বিপদে কেউ টাকা দিয়ে তাকে সাহায্য করতে পারবে না।

আজ শুক্রবার। তাই হাবিব সাহেব তার জায়গাটা দেখতে এসেছেন। জায়গাটার চারিদিকে সীমানা প্রাচীর দেয়া। কেনার পরপরই সীমানা প্রাচীর তেরি করে ফেলেছিলেন। চতুর্ভজাকৃতির জায়গাটির তিনদিকে তিনটি করে মেহগনি গাছ লাগানো। পশ্চিম দিকের মেহগনি গাছটার ছায়ার নিচে গিয়ে হাবিব সাহেব দাঁড়ালেন। বাতাসের একটা দমকা এসে কিছু শুকনা পাতা উড়িয়ে তার তামাটে গোলগাল মুখে হালকা পরশ বুলিয়ে দিয়ে গেলো। কাঁচ-পাকা পাতলা চুলগুলোর একটি গোছা কপালে এসে জড়ো হলো। তার চোখের নিচে আর গলার ত্বক কিছুটা কুঁচকে গেছে। দেখলেই বোঝা যায় বয়স প্রায় পঞ্চাশ হবে এই মেদহীন ছিপছিপে লোকটির। আর তার চেহারার মধ্যে অভিজ্ঞতার ছাপ স্পষ্ট। মুখাবয়বে এরকম একটা ভাব আছে যে, যে কেউ তাকে দেখলেই মনে করবেন যে এই লোকের কাছে তিনি নিরাপদ।সূর্যটা তখন পশ্চিমে কিছুটা হেলে পড়লেও উত্তাপ মোটেও কম ছিল না। ফকফকে নীল আকাশে ছেড়া ছেড়া মেঘের টুকরা ভেসে বেড়াচ্ছিলো দিগন্তের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত পর্যন্ত। প্রধান সড়ক এখান থেকে বেশ কিছুটা দূরে বলে যানবাহনের হর্নের বিকট শব্দ এখানে ছিল না। তবে রিক্সা ও মটর সাইকেলের আওয়াজ পাওয়া যাচ্চিল।

হাবিব সাহেবকে দেখে তার প্রতিবেশী রহমান সাহেব এসেছেন তার সাথে কথা বলতে। রহমান সাহেব একটি কাঁচাপাকা ঘর করে তার পাশের জায়গাটুকুতে থাকেন। রহমান সাহেব বললেন

: শুনেছেন, কালা ফারুখ কয়েকদিন আগে প্রতিপক্ষের একজনকে প্রকাশ্য দিবালোকে জবাই করে হত্যা করেছে।

: না, শুনিনিতো। হাবিব সাহেব শঙ্কিত হলেন। তার চোখে-মুখে চিন্তার ভাঁজ পড়লো।

: আপনাকে তো কতো করে বললাম এখানে কিছু একটা করে অন্তত জায়গাটা দখলে রাখুন।

জায়গাটা কিনেছিলেন পনের বছর আগে। পৈতৃক সম্পত্তি ভাগে যা পেয়েছিলেন তার সবটুকু বিক্রি করে দিয়ে এবং ব্যাংক থেকে কিছু লোন নিয়ে তিনি এই জায়গাটা কিনেছেন। তার স্বপ্ন ঢাকায় একটা ঠিকানা তৈরি করা। তখন জায়গার দাম এতো বেশি ছিল না। আর তখন তার জায়গার পাশে যে পচিশ ফিট রাস্তাটা তৈরি হয়েছে সেটাও ছিল না। আসেপাশে ঘরবাড়িও তেমন একটা ছিল না। কিন্তু পচিশ ফিট রাস্তাটা তৈরি হওয়ার পর জায়গার দাম হঠাৎ করেই অনেক বেড়ে যায় এবং আসেপাশে বাড়ি-ঘরও উঠতে থাকে। আর কালা ফারুখের তৎপরতাও তখন থেকে বেড়ে যায়। ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে তিনি এই জায়গাটা দখলে রাখার মতো কিছু একটা তুলতে পারেন। কিন্তু জায়গা কেনার সময় ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে তার অনেক শিক্ষা হয়েছে। লোনের টাকা পরিশোধ করতে তার অনেক কষ্ট হয়েছে। সংসারেও তখন টানাটানি লেগেই থাকতো। তাই তিনি ওপথে আর যেতে চাচ্ছেন না। 

হাবিব সাহেব তাই নির্বিকারভাবে বললেন : টাকা নেই।

হাবিব সাহেব রহমান সাহেবের বাসায় চা-নাস্তা খেয়ে যখন আবার নিজের জায়গাটায় আসলেন তখন প্রায় দু’টো বাজে। সূর্যটা কিছুটা পশ্চিমে হেলে পড়েছে। গাছের ছায়া এসে পড়ছে তার মুখে। দু’টো ফিঙে নাচানাচি করে গাছের এডাল থেকে সেডালে যাচ্ছিলো। তিনটে শালিক রহমান সাহেবের বাসা থেকে ফেলে দেয়া ঝুটা খাওয়ার জন্য হুড়োহুড়ি করছিলো। দু’টো চড়ুই নির্ভিকভাগে সঙ্গম করছিলো সীমানা প্রাচীরের উপর বসে বসে। হাবিব সাহেব রহমান সাহেবকে জিজ্ঞেস করলেন

: এই এলাকার কোথাও কী ডেভেলোপার এসেছে?

: না, এই এলাকায় এখনো আসেনি। হয়তো বছর পাঁচেকের মধ্যে এসে যাবে।

রহমান সাহেবের কথা শুনে হাবিব সাহেব হতাশ হয়ে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেললেন।

বর্তমান বাজার দরে জায়গাটা বিক্রি করলে তিনি অনায়াসে একটি ফ্ল্যাট কিনতে পারেন। কিন্তু একটি ফ্ল্যাট দিয়ে তিনি কি করবেন। তার মেয়ে তিনটি। তিন মেয়েকে একটি মাত্র ফ্ল্যাট দিলে ওদের জামাইরা সেই ফ্ল্যাট নিয়ে নিজেদের মধ্যে ঝগড়া-ঝাটি শুরু করে দিবে। তাই তিনি ঠিক করেছেন তিনি বাড়ি করবেন। বেলা দু’টা পর্যন্ত জায়গাটার মধ্যে অবস্থান করে রহমান সাহেবের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে মূল সড়কে আসলেন। একটা সিএনজিতে চাপলেন। ঢাকা শহরের ধুলাবালি ডিঙিয়ে, যানযট এড়িয়ে, গাড়ির বিকট হর্নে অস্থির হয়ে তিনি যখন বাসায় ফিরলেন তখন বিশাল সূর্যটা উত্তাপ আর বর্ণিল রঙ ছড়াতে ছড়াতে পশ্চিম দিকে কাৎ হয়ে পড়েছিল।

হাবিব সাহেবের ক্ষিধে পেয়েছিলো খুব। তাই বাসায় ঢুকে স্ত্রীকে বললেন খাবার দিতে। তিনি কাপড় বদল করে হাত-মুখ ধুয়ে খেতে বসেছেন। মাথার উপর ফ্যান ঘুরছিলো। আজ শুক্রবার তাই মুরগী রান্না করা হয়েছে। তিনি তৃপ্তি সহকারে খাচ্ছেন। এমন সময় বড় মেয়ে শম্পা এসে বললো

: আব্বু একটা কথা বলবো। রাগ করবে নাতো।

হাবিব সাহেব বিরক্ত হলেন। বললেন : রাগ করবে কেনো? বলে ফেল কী কথা।

: তুমি কি আমাকে একটা ল্যাপটপ কিনে দিতে পারবে?

হাবিব সাহেব একটু চিন্তা করলেন। তারপর বললেন : হ্যাঁ, দিতে পারবো যদি তিন মাস ধৈর্য ধরতে পারো। রোজার ঈদের বোনাস পেলে তখন কিনে দিবো।

শম্পা খুশী হয়ে বললো : আচ্ছা ঠিক আছে। বলে ভিতরে চলে গেলো।

তিনি সব সময় টেনশন কমিয়ে রাখতে চেষ্টা করেন। কিন্তু টেনশন তার পিছু ছাড়ে না। তিনি বড় মেয়ে শম্পাকে নিয়ে টেনশন করেন। কারণ মেয়েটার গায়ের রং ওর বাবার মতো কালো। মেয়েটা এমনিতে ছাত্রী হিসেবে ভালো। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃতীয় বর্ষে পড়ে। কিন্তু তবুও তিনি টেনশন করেন। কারণ ওর গায়ের রঙের জন্য যদি ওর ভালো বিয়ে না হয়। তবে নিজেকে এটা বলে বোঝাতে চেষ্টা করেন যে লেখাপড়া শেষ করে যদি ভালো একটা চাকরি পেয়ে যায় তবে মেয়েটার ভালো একটা বিয়ে হয়তো হবে। আবার মাঝে মাঝে এটা নিয়েও ভাবেন যে মেয়েটার বয়স হয়েছে। এখন যদি হাবিব সাহেবের অপছন্দের কোনো ছেলেকে মন দিয়ে ফেলে তাহলে তিনি কি করবেন। এইজন্য একদিন তিনি হাসতে হাসতে মেয়েকে বলেছিলেন , ‘শোনো মা। যদি কাউকে মন দিতেই হয় তবে দেখো ছেলেটা যেনো ভালো ছাত্র হয়।’ আবার বিয়ের পর মেয়েটা সংসার করবে কিভাবে সেটা নিয়েও ভাবেন। কারণ মেয়েটা পারে শুধু চেয়ারে মেরুদণ্ড বাঁকা করে বসে থেকে বই পড়তে। খুব একটা সামাজিক না। ওর বন্ধু-বান্ধবের সংখ্যাও খুব একটা বেশি না। বাঁকা হয়ে পড়তে পড়তে এখন হাটার সময়ও একটু কুঁজো হয়ে হাটে। ঠোঁটে লিপস্টিক পর্যন্ত দেয় না । 

হাবিব সাহেব খাচ্ছেন। বড় মেয়েকে ল্যাপটপ কিনে দিবেন শুনে মেজো মেয়ে শর্মি ঘর থেকে বেরিয়ে এলো। সে বললো

: আব্বু আমাকে কিন্তু একটা ভালো মোবাইল কিনে দিতে হবে। আমার মোবাইলটা দিয়ে ঠিকমতো ফেইসবুক দেখা যায় না।

হাবিব সাহেব খেতে খেতে বললেন : আচ্ছা কিনে দিবো। আগে ভার্সিটিতে ভর্তি হও তারপরে। শর্মিও খুশি হয়ে ভেতরে চলে গেলো।
মেজো মেয়ে শর্মিকে নিয়েও তিনি টেনশন করেন। মেয়েটা এবার এইচএসসি পাশ করেছে। সে যদি সরকারি ভার্সিটিতে ভর্তি হতে না পারে তাহলে তিনি কি করবেন। প্রাইভেট ভার্সিটিতে তো পড়াতে পারবেন না। ওর গায়ের রং নিয়ে খুব একটা ভাবেন না তিনি। কারণ শর্মির গায়ের রং শ্যামলা এবং উচ্চতাও ওর খারাপ না। মেয়েটা মিশুক প্রকৃতির । মায়ের সাথে সংসারের কাজকর্মও করে। তাই ওকে নিয়ে খুব একটা চিন্তা হাবিব সাহেব করেন না।

তিনি নির্বিবাদী লোক। কারো সাথে বিবাদে বা বিরোধে জড়াতে চান না। অফিসে সবার সাথে সুসম্পর্ক রেখে চলার চেষ্টা করেন। কারো সাথে তর্ক করেন না। অফিসের বস যদি অন্য কেউ ছুটিতে গেলে সেই লোকের কাজ তার টেবিলে এনে দেন তাহলেও তিনি টু-শব্দটি করেন না। অনেক সময় বস বলেন আজকেই কাজটা করে দিতে হবে। তবুও হাবিব সাহেব বলেন না যে, স্যার আজতো দেরি হয়ে গেছে। কাজটা আজকে করতে গেলে অফিসের বাস মিস করবো। কাল করে দেই? কিস্তু হাবিব সাহেব বলেন, ‘আচ্ছা স্যার আজকেই করে দিবো।’  তারপর আশি টাকা রিক্সা ভাড়া দিয়ে বাসায় ফেরেন। রিকাসাওয়ালাদের সাথেও বিরোধে যান না। কোনো রিক্সাওয়ালা বাসার সামনে এসে যদি বলে আরো বিশ টাকা বেশি দিতে হবে তখন হাবিব সাহেব বলেন , কেনো? বলেইতো উঠলাম? রিক্সাওয়ালা বলে, ‘আপনে বলছেন ভিতরে। কিন্তু এতো ভিতরে এইটাতো বলেন নাই।’ হাবিব সাহেব কোনো কথা না বাড়িয়ে আরো বিশ টাকা দিয়ে চলে আসেন।

হাবিব সাহেব খেতে খেতে তার স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করলেন ছোট মেয়ের কথা। সে কি করছে। তার স্ত্রী বললো যে ও খেয়ে-দেয়ে ওর বান্ধবীর সাথে ফোনে কথা বলছে।
ছোট মেয়ে রুম্পাকে নিয়েও তিনি টেনশন করেন। কারণ মেয়েটা পড়ালেখার প্রতি মনোযোগ মোটেও নেই। সারাদিন সেজেগুজে থাকবে আর বান্ধবীদের সাথে গল্প করবে ওর মায়ের মোবাইলে। পড়ালেখা না করলে, চাকরি-বাকরি না করলে মেয়েদের পায়ের তলার মাটি শক্ত হয় না। কিন্তু একথা তিনি ছোটো মেয়েকে আজ পর্যন্ত বুঝাতে পারেন নাই। ওর বিয়ে নিয়ে তিনি চিন্তা করেন না। কারণ সে দেখতে মায়ের মতোই সুন্দর, উচু, লম্বা। হাসেও মায়ের মতোই। রুম্পা এবার এসএসসি দিবে।

এতোবছর ঢাকা শহরে থেকে হাবিব সাহেব একটা জিনিস ঠিকই বুঝে গেছেন। তিনি বুঝে গেছেন যে তিনি কতো দুর্বল। কিন্তু দুর্বল হলে ঢাকা শহরে বাড়ির মালিক হওয়া যায় না। তবুও তিনি বাড়ির মালিক হতে চাচ্ছেন। তার দুই কূলের আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে বড় কোনো কর্মকর্তা নেই যে বিপদে পড়লে তার কাছে ছুটে যাবেন। পুলিশ বিভাগেও কেউ নেই। তিনি যে কতটা অসহায় সেটা তিনি বুঝেছিলেন কিছুদিন আগে তাকে পদোন্নতি দিয়ে যখন ঢাকার বাইরে পাঠিয়ে দেয়া হয়। উপরে ফোন করতে পারে আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে এমন কোনো লোক তিনি খুঁজে পাননি। তার গ্রামের বাড়ির সংসদ সদস্যে কাছে অনেকবারই গিয়েছেন। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। শেষে উপায়ান্তর না দেখে নিজেই তার বড়কর্তার সাথে দেখা করে বলেন যে ঢাকায় তিনি একটি সরকারি বাসায় থাকেন এবং তার তিন মেয়েই ঢাকায় পড়াশোনা করছে। বড়কর্তার দয়া হয়েছিল তার কথা শুনে এবং তখন তার বদলি আবার ঢাকা শহরে হয়।

গ্রীষ্ম পেরিয়ে বর্ষা। তারপর শরৎকাল চলে এলো।একদিন তিনি অফিসের আবছা আলোয় তার টেবিলে বসে কাজ করছিলেন। মাথার উপর ময়লা ফ্যান ঘুরছিল। জানালা দিয়ে তীর্যক আলো তীরের মতো এসে পড়ছিল তার টেবিলে ফাইলগুলোর উপর। ভ্যাপসা গরমে সবাই ছিল অস্থির। রং উঠে যাওয়া দেওয়ালে ঝুলানো পুরনো ঘড়িটার দিকে তিনি চাইলেন। বারোটা নয় বাজে। এমন সময় তার মোবাইল বেজে উঠে। তার পাশের জায়গার মালিক রহমান সাহেব ফোন করেছেন। তিনি জানালেন যে কালা ফারুখের লোকজন হাবিব সাহেবের জায়গাটা দখল করে এক রাতের মধ্যে ঘর তৈরি করে ফেলেছে। কথা শুনে তার হাত থেকে মোবাইলটা খসে পড়ে গেলো। আর তিনি ঢলে চেয়ার থেকে পড়ে গেলেন মেঝেতে। সবাই ধরাধরি করে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলেন। কিন্তু হাবিব সাহেব হাসপাতাল থেকে আর বাসায় ফিরলেন না।


• নোয়াখালী

menu
menu