দুটি কবিতা ।। চন্দনকৃষ্ণ পাল

অপেক্ষা মাঝে মাঝে স্বস্তি এনে দেয়

ভাঙা কাচ ছুঁতে নেই, ওখানে ভয় জেগে থাকে
রক্ত পানের লাগি উন্মুখ হয়ে থাকে ধারালো সে ঠোঁট
ছুঁয়ে দেখলেই হলো, টকটকে লাল...

তাড়াহুড়ো করা ভালো নয়
এতে ভাঙচুর ক্রমাগত বেড়ে যেতে থাকে
না না মনের ভাঙচুর নয়,
সে এক অন্য কাহিনি
তার চোখে মাদকতা তোমাকে উৎসাহ দিলে
তোমারই তো দূরে থাকা শ্রেয়—
হৃদয়ের ভাঙচুর স্বাস্থ্যকর নয় জেনেও
ফিরে ফিরে দেখো, গন্ধ নাও অচেনা ডিওর
আবার উত্তাল হও, ভাঙচুর বাড়ে আর
রক্ত প্রবাহে পায় গতি।

সময়টা ভালো নয়, সবুজ অন্তর্হিত
ধূসরের প্রাবল্যে খাক হয়ে গেছে চারদিক
ক্রান্তিকালে পৌঁছে গেছে তোমার সময়
তাই ধীর পায়ে চলা ভালো, বলা ভালো ধীর কণ্ঠে
একটু সবুজ জড়িয়ে—

পরিবেশ ভালো হলে আবার সবুজ পাবে
অপেক্ষা মাঝে মাঝে স্বস্তি এনে দেয়।

 ক্রান্তিকাল

মধ্যদুপুর নিয়ে মাথাব্যথা একদমই নেই,
নেই মধ্যরাত নিয়েও
ব্রাহ্ম মুহূর্তের কথা ভুলে গেছি সেই শৈশবে।

এখন সকাল দুপুর রাত
সবকিছু এক পাল্লায় তুলে মাপি
জিন্স পরা যুবকের মানিব্যাগ বের হতে হতে
পড়ার অপেক্ষা—
তার ভ্রুক্ষেপ নেই! ঠিক এমনই আমার জীবন
কোনো কিছু নিয়ে আর সওদা করি না
তুমি যেই দর দেবে, আমি ঠিক সেই দরে রাজি
লাভ ক্ষতি নিয়ে ভাববার দিন গেছে চলে...

আরে না, মৃত্যুর অপেক্ষা নয়!
নতুন জীবনের অপেক্ষায় কাটাচ্ছি এক তীব্র ক্রান্তিকাল। 


চন্দনকৃষ্ণ পাল কবি। ব্যবস্থাপনায় স্নাতকোত্তর। বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডে উপ-পরিচালক (অর্থ) হিসাবে কর্মরত আছেন। ১৯৯২-৯৩ সালে লিটলম্যাগ দ্রষ্টব্য’র সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। সম্পাদনা করেছেন ছড়াপত্র প্রবাহ, চান্দ্রেয়ী, একফর্মা ছড়াপত্র, কবিতাপত্র নৈ। 

menu
menu