....
মগজের ভিতর শৈশব উঁকি দেয়
জোড়া চোখ দেখি শীতের বিকেল
গোধূলি আকাশ, রঙিন উল্লাস, পিঠা উৎসব
স্বজনের মায়া মুখ, মিলনমেলা
মগজের ভিতর শৈশব উঁকি দেয়, স্মৃতির চলচ্চিত্র।
সমুদ্রের উঠোনে হাঁটে পা
শুঁটকি ঘ্রাণ বাতাসে ভাসে অদৃশ্য আলিঙ্গন হাসে চোখ
পর্যটক উঁকি দেয় চৌদিক মৈনাক ঐতিহ্য হারায় দিন দিন
চলতি পথে থমকে দাঁড়ায় ক্লান্ত পথিক।
জেগে আছি—
শুঁটকি ঘ্রাণ নাকের ভিতর ঘুরে।
মানুষের ভিড়ে মানুষ খুঁজে খুঁজে
কথাহীন
ইচ্ছেহীন
স্বপ্নহীন চোখ ও মুখ।
ঝাউপাতার বিরহী সুর কানে বাজে অষ্টপ্রহর
ছন্দহীন যৌবন কোনোখানে হাসে না আর সমুদ্রের উঠোনে হাঁটে পা
সমুদ্র দেখলেই মানুষ কবি হয়ে ওঠে জলজ হাওয়ায়।
দিঘির জলে হাসে চাঁদ
দিঘির জলে হাসে রুপালি চাঁদ
বড়শি হাতে যেন প্রেমিক চণ্ডীদাস
ধরে না মাছ ধরে প্রেম—বুকভরা শ্বাস।
মনুষ্যত্বহীন সমাজে মানুষ খোঁজে কেউ কেউ
অকস্মাৎ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে পাগলা ঢেউ।
মানুষের ভিড়ে নেই মানুষ
রঙহীন উড়ে যায় ফানুস।
রুদ্র সাহাদাৎ কবি। তিনি কক্সবাজারে থাকেন।