তিনটি কবিতা ।। নীহার জয়ধর
রসিকা
ট্রাজেডি নায়ক হেঁটে আসুক, মুখে পান
নায়িকা প্রস্তুত সঙ্গতে, জর্দা সুগন্ধি গান
সেই আকাশের লাল, যেখানে একজন কাপালিক থাকেন পিপাসিত
সেই গেরুয়া আগুন, যেখানে ডোম ভাতের হাড়ি চিতার কাঠে
ঘননীল বৈশাখী কোন, ভাঙাঘর শেষে গাছের কোটরে বাসর
চল্লিশ দিনের বৃষ্টি প্রলয়ের হিসাবে খনার কাটা জিভ
চ্যাঙমুড়ি তাড়া খাওয়া চাঁদ বিবস্ত্র ঘরে ফেরে, সনকার প্রশ্ন-জাল
কোথায় মহাজ্ঞান, মাতৃগমনের অভিশাপ
বেহুলা চেয়ে আছে, বাসরের কোন পথে ঢোকে সাপ
মান্দাসে কে, কে আসে কাক ও কোন বোয়াল
আর সেই বুড়ো শিব, নাচ দেখাবে নাগিন
নায়িকা জিভে হিল্লোল লাল ঝাল
নায়িকা দেখতে ভালোবাসে স্বর্গভাঙা তাল, দৈব অভিশাপ।
মহিলা কবি
কবিতার কাছে হাঁটু মুড়ে বসি, পায়ে ঝিঁঝিঁ
এবার হয়তো পালা আসিয়াছে, রুটি রুজি
যদি তাই বল শীত চাদর হতেও পারো
ঘাঁড় গুজে শব্দের নিঃশ্বাসে গরম হবো
ছাতার তলায় আধ ভেজা মাথা, নোলক মাকড়ি টুংটাং
ছন্দ হাঁটবে সাথে চরণ বিশ্বাসে, ছেদ যতি সময়ে দেবে ঋণ
কাজের সন্ধানে বেকার যুবক হাত
খাতা কলম প্রস্তুত দুয়ারে, তীর্থ নাম লেখা শংসা সংবাদ
ডাক দেওয়া হয়েছিল, ডাক দিতে দিতে রওনা, হাতে প্লুত আসন
কবিতা-যুবতি বিবাহ যোগ্য তবে, কিনে নাও রক্ষিত, কর্মী সুদর্শন।
উদ্বেগ
তালপাতার বেড়ার পায়খানা
খেজুর পাতা ঘেরা কলপাড়
মেয়েটি ঐখানে প্রতিদিন স্নান করে
কয়েকটা কুকুর দুপুরে এসে রাস্তায় উপচানো জল চেটে যায়।
এসব গল্প আমি তরুণ যুবক ও প্রৌঢ়দের মুখে শুনেছি
এক লোলচর্ম বৃদ্ধ বলেছেন স্নানের সময় মেয়েটি
উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাব গোলাপি প্যান্টি আর লাল ব্রা
একটা বাঁশের মাথায় ঝুলিয়ে রাখে
উনি ব্যাপারটা জানতেন না,
ওঁর দীর্ঘায়ু স্ত্রী, ছানি কাটিয়ে ফেরা ইস্তক
ওই অশ্লীলপোশাকের ঘ্রাণে মস্তক-উদবাগে ভুগছেন।
নীহার জয়ধর, কবি, ভারত