একদিন মরে যাবি তুই

কত শত ঘাস দূর্বা চাপড়া বাদাল
বাতাসে ছড়ায় আজন্ম শৈশব সুবাস
কাঁচি খুপড়ি নিড়ি হাতে মাঠে ক্ষেতে
আইলে গিয়েছি, পেছনে পেছনে ঝুহিন
গরুর মতো ডেকেছি, বেড়েছি নানিকে
মা ডাকার ঋণ।
কেটে গেছে বুড়া আঙ্গুল কাঁচির দাঁত লেগে
রিফুজি লতার কষে বেঁধেছি নিজেকে
আজও আছে সেই দাগ, আর আছে
মাকে কাছে না পাওয়ার রাগ-বিরাগ
তারপর লেখাপড়া এসে শিক্ষার ক্ষত দিল এঁকে
নাকে মুখে চোখে মগজ-মস্তকে।
জ্ঞানহীন শিক্ষা, চলছে বহাল তবিয়তে
জনে জনে তথ্যের ভান্ডার, কত কিছু জানি
জিতে গেছি , বগল বাজাই তবু চারদিকে শীত
জগতের পাছায় ফুঁ দিলে বাজে করোনার গীত।
সাথে বাজে বোতল শিশি এবং বাদুরের মিথ
শ্বাস বড় বা ছোট হলে দেহ হারায় দেহের সম্বিৎ
হ্যাঁ ভ্যাকসিন, না ভ্যাকসিনের সঙ্গে পুঁজ ও পুঁজির সুঁই
ঘাসের সুবাস বুকে নিয়ে একদিন মরে যাবি তুই।
• আবেদীন মাওলা, কবি, কুমিল্লা