তিনটি কবিতা ।। সুব্রত অগাস্টিন গোমেজ
টনেস
আমি খাটো হচ্ছি, নাকি মাটি আসছে উঠে?
নাড়ার আড়াল আরও সুনজর-কাড়া,
যা নাড়ালে... কথাটা আগের লাইনে থাকা
সদরকারি ছিল, যথা কল্কেতু দাদারা
করে—এনজ্যামমেন্ট; আমরা নেড়ে বাঙালেরা
ওভাবে বলি নে, অত ঘিরিঙ্গি। কামচোর,
সৈলতাটা কোনহানে? সুধা মোম-কি খাওয়া যায়?
বৈন্টা তোরে দাদা কয়, না ডাকে বাঞ্চোত?
আছছ বিন্দাস, মামদা, ষাটের বালাই
নাইক্কা, খালি পিনিক। কানের মশা নাকে
হাঁচির ধমক খায়া টাকে। আগে ভাগে
সাইক্লে লম্বু অসহ্য-মিজান, কিন্তে যায়
শর্করা-মাসুদ-লাগি গাঞ্জা আর ফেন।
শান্তনু, আসিয়ো কালি, অসীমদা এসবেন।
ঝুম বরাবর ঝুম
পৎপৎ উৎপতাকায়
বঙ্কিম চন্দ্র তাকায়,
রিমঝিম বৃষ্টি ঝরে
নিঃসীম হিম-ইথাকায়।
জাল বুনছেন রানি, মা-
কড়শার শাল। জানেমন,
লেসবস ছাড়, বুকে আয়—
ট্রয়-জঙ্গের অ্যানিমা...
আমি জানি, আমি অ্যাদ্দিন
জন্ম হই নাই, ছিলুম না,
তুমিও-তো তুলে লও নাই
পিঙ্গলার পর সুষুম্না।
এত বৃষ্টি এত বৃষ্টি কেত বৃষ্টি ঝ্রে
ঝিংঝপাঝপ্ শিংশপাশপ্ স্প্রে
বৃষ্টির বোন মিষ্টি তার নাম শিপ্রা
জবজব করছেন রে প্রাণপণ চিপড়া
টঙ্কশ্রী শুনিবাম,
ওঙ্কারনাথ গাবেন।
শ্রীটঙ্কও নাকি আছে,
মাসুদ খানসা’বেন।
এত রাগারাগি, মল্লার
মাসুদ খান অষুধ খান,
পাশে টিপু শাখামৃগ
তাকান লাকান।
হাঁটতে-হাঁটতে এসেই পড়ে
জোহরা মার্কেট,
শান্তনু সাজ্জাদ ফাড়ে
বড়ুয়ার পেট।
বাচ্চা ভালোই বাইরাইছে,
ডাইন দিকে বাঁকা,
ঐটা তির নাকি ধনুক?
ফিরে এসো চারকোনা চাকা।
পরিশেষে সবি ভণ্ড
সেলিম ভাইও ভাণ,
কোথায় লুকাবি অরে
সুমন রহমান?
সীমা-না
আমার দ্যাশের মেয়া, ইছামতি-পারের কড়ই
গাছের গোড়ায় একলা—এইর’ম দুপুরে মনে লয়
কেউয়া যদি হইয়া গেলে, ভুইলা যামু ঠোঁটের চিড়বিড়
কিড়াটারে? খালি একটা ছবি দেখা : নিজে সে-তসবির
যদিও, নদীও উল্টা, কুসুম-কুসুম হাওয়া, সই,
বুকে হুহু আইসা ঢোকে, চোখে দেখি, পা-দুইটা তৎপর
মাটি ছোঁয় না গ্যাসবেলুন, কিন্তু আমি উড়িও না, ঐ
পজিশনে জইমা হিরা : একটা নামে লেখা চরাচর—
বানান জানে না বইলা, মেয়াটারে চইলা যাইতে হয়।
• কবি, অনুবাদক, প্রাবন্ধিক ও গবেষক, অস্ট্রেলিয়া।