দুটি কবিতা
ফোটে আছে
ফোটে আছে কয়েকটি মৃদু মুহূর্ত
ফোটে আছে কয়েকটি ভাবনার জানালা
ফোটে আছে ঝিরিঝিরি চাহনির প্রবাহ
ফোটে আছে সঙ্গতালাভের তাড়নায় বেড়ে ওঠা আকাঙ্ক্ষা
ফোটে আছে দেখা না হওয়ার প্রহসন
ফোটে আছে অব্যক্ত-ব্যর্থতার কালকেতু
ছড়িয়ে পড়েছে গ্রামের পর গ্রাম তোমার অনুপস্থিতির দীর্ঘশ্বাস
ছড়িয়ে পড়েছে অন্ধকার নামা মানে তোমার মুখ দেখতে না পারা
ছড়িয়ে পড়েছে দুজনের পায়ের মাঝখানে সমুদ্রের বিশালতা
ছড়িয়ে পড়েছে গম্ভীরতা নামক একটি ভয়ঙ্কর স্থলমাইন
ছড়িয়ে পড়েছে ব্যস্ততা নামক একটি ক্লিশে মোহ
ছড়িয়ে পড়েছে বিদ্যুতের মতো বেশি অনুপস্থিতির ঘটনা।
ফলে বাতাসে একটি কলাপাতার দোল খাওয়ার অর্থ হলো
তা আমাকে ডাকছে না যেতে বলছে—তা বুঝা যাচ্ছে না।
বাগান ও তার ঐশ্বর্য
তুমি একটি বাগান। তোমার চোখ দুটা ফুটে থাকা নীল অপরাজিতা। চুল লাফিয়ে পড়া লতার মতো বাগান বিলাস; যখন ফুটে, তখন লাল, নীল, গোলাপী নানা রঙের বৈভব তাতে খেলা করে। তোমার দুটা ঠোঁট যে বেলি, চিরল চিরল সুবাস, তা জেনে যাই।
তুমি যদিবা একটি বাগান, তাহলে সে বাগানে গোলাপ কী—বলতো? গোলাপ মানে লাল, হলুদ না নীল—তার উত্তর কোথায় লুক্কায়িত আছে, বল তো? বাগান থাকবে অথচ হিমালয় থেকে নেমে আসা গোলাপ থাকবে না—এ কেমন কথা। সুতরাং কোথায় তোমার গোলাপ বল? পাপড়ি, মেলে থাকা পাপড়ি, ভাঁজ হয়ে থাকা জড়াজড়ি পাপড়ির ঐশ্চর্য, পাপড়ির ধারাপাত, কোথায় বল তো?
একটি বাগান আমি চাষ করি, মালি হয়ে ছুঁয়ে দিই নীল অপরাজিতা। তারপর খুঁজি গোলাপ। সংগোপনের মতো যাই গোলাপের দিকে...। গোলাপ কি লাল, গোলাপ কি লাল নয়!
• ঢাকা