মন্দাক্রান্তায় পাঁচটি রুবাইয়াৎ  //  অহ নওরোজ

৩.
নির্জন চারপাশ—পাথুরে আলোহীন, বইছে নিশ্বাস—দূরের রাত,
সুনসান শয্যায় করেছি অপচয় স্বপ্ন-উৎসব—কোমল তাঁত।
উজ্জ্বল উষ্ণের সকালে তবু রোদ শূন্য নিদ্রায় অযান্ত্রিক—
জলহীন ভঙ্গুর শরীরে যেন হীম নড়ছে আকছার সবার হাত।
 
৪.
রঙিন সূর্যের আলোতে যেন দিন, করছে ঝলমল দারুণ আজ
রোজকার ঠান্ডার সীমানা হলে শেষ, চিনবে নিশ্চয় শীতের ভাঁজ
সবগান নীলরাত, থাকে না চিরকাল, নিভবে একদিন সকল ঘ্রাণ
নির্মল নিদ্রায় ভুলো না তবু ওই স্বপ্ন দেখবার সবুজ কাজ।
 
৫.
জলহীন ঘাসবন—সবুজে ভাসে মাঠ, কাঁপছে ঝিরঝির মাঝির পাল
স্বপ্নের চারপাশ শরীরে গাড় আজ, ফাটছে সৌরভ—শরৎকাল।
জিভহীন লোকসব তবুও বেখেয়াল, খুঁজছে সুন্দর অনর্গল—
মেঘহীন মখমল কখনো যদি চাও মেলবে একবার চোখের জাল।
 
৬.
আয়নার জোছনায় আলেয়া যেন সব—দৃশ্য বদলায় অজান্তেই
দিনভর নিজমুখ তবুও দ্যাখে কেউ—উষ্ণ সুখপায় একান্তেই।
এইসব অভ্যাস হতাশা মুছে দেয়, নিংড়ে আটকায় অহংকার—
প্রোজ্জ্বল-চঞ্চল আলোতে ভাসা হোক, নিজকে দেখবার আনন্দেই।
 
৭.
ঝমঝম বৃষ্টির সকালে দেহ আজ হচ্ছে বিছনায় জখম-খুন
শূন্যের মর্মর মগজে অতিকায় বাজছে বারবার—চিরন্তন।
জানলার কার্নিশ দেখেছে যেন সব, সাক্ষী রাখলাম তাকেই আজ
এইসব বর্ষায় তামাশা হয়ে যায় একলা থাকবার মানুষ-মন।


• ঢাকা

menu
menu