অতিথি সম্পাদকের ভাষ্য

পৃথিবীব্যাপী ভয়ংকর এক ক্রান্তিকাল চলছে। শিল্প-সংস্কৃতির আগ্রাসনে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো ভাষা হারাচ্ছে। গোলকায়নের বন্যায় প্রযুক্তি এবং অর্থনীতিতে সহায়ক নয় এরকম ভাষা চর্চায় জনগণ আগ্রহ হারাচ্ছে। শিল্প-সাহিত্য সংস্কৃতির ধারক এবং বাহক। নিজস্ব সংস্কৃতির বিকাশ না-হলে মুক্তবুদ্ধির চর্চা ব্যাহত হয়। এমন পরিস্থিতিতে— 

প্রায় দশ বছর ধরে বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলার, একটি ক্ষয়ে যাওয়া নদীর নাম ধারণ করে ছোটকাগজ ঘুংঘুর নিয়মিত প্রকাশিত হয়। দিন দিন বাংলা ভাষার কাগজটি আন্তর্জাতিক হয়ে উঠছে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা বাঙালি নবীন-প্রবীণ সাহিত্যকর্মীদের মুখপত্র হিসেবে কাজ করছে। সেটা খুবই আনন্দের।

ঘুংঘুরের ২৬তম সংখ্যাটি উত্তর আমেরিকার বঙ্গ সম্মেলন উপলক্ষে প্রকাশিত হচ্ছে। বহির্বিশ্বে বাংলা ভাষাভাষীদের সবচেয়ে বড় উৎসব উত্তর আমেরিকার বঙ্গ সম্মেলন বা নর্থ আমেরিকান বেঙ্গলি কনফারেন্স (এনএবিসি), যা শুধু সাহিত্যের নয়, নানা শিল্প মাধ্যমেরও উৎসব। তিন দিনের এই মহোৎসবে যোগ দেন ভারত, বাংলাদেশ ও উত্তর আমারিকার গুণী শিল্পী সাহিত্যিকসহ হাজারো বাঙালি। ঘুংঘুরের সম্পাদক হুমায়ূন কবিরকে ধন্যবাদ জানাই এই কারণে যে, তিনি আমাকে বর্তমান সংখ্যার অতিথি সম্পাদক হিসেবে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। কাগজটি ভারত, বাংলাদেশ ও উত্তর আমেরিকার লেখকদের লেখায় বেশ সমৃদ্ধ। এই সংখ্যার প্রচ্ছদ করেছেন মৌসুমী দত্ত রায়। ঘুংঘুর-পরিবারের তরফ থেকে পাঠক-লেখক-শুভানুধ্যায়ী সবাইকে অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানাই। সাহিত্যপ্রেমী পাঠকদের কাছে অনুরোধ, সংখ্যাটি সংগ্রহে রাখুন, প্রিয়জনকে উপহার দিন। ঘুংঘুরের বঙ্গ সম্মেলন সংখ্যা পাঠকদের ভালো লাগলে বাংলা সাহিত্যের জন্য আমাদের পরিশ্রম সফল হবে।    

ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা  
রুদ্রশংকর 
আটলান্টা, জর্জিয়া 
 

menu
menu